নিজস্ব প্রতিবেদক : বায়ু দূষণ কমাতে প্রদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে একটি সভা হয়েছে। ওই সভায় কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশে রাজধানীতে ধুলাবালি কমাতে ২০ টি সুইপিং ট্রাক কেনা হচ্ছে।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ এর অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস লাইনসহ নানা রকম সেবামূলক কাজ যেগুলো করা হয়েছে, সেগুলো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ি করা হয়নি। নতুন করে ঢাকা শহরে জনসংখ্যা বেড়েছে। সে অনুযায়ী সংস্থাগুলো সেবা দিতে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করছে। এতে করে ওয়াসা একদিকে কাটাকাটি করছে, ডেসকো অন্যদিকে করছে। তিতাস আরেকদিকে কাটছে। ফলে ধুলাবালি বাড়ছে।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদাহরণ দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে। রাস্তার পাশে সেবা সংস্থাগুলোর ট্রাকিং পয়েন্ট রেখেছে। তারা ঐখান থেকে নতুন জায়গায় লাইনগুলো পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে বার বার একই রাস্তা কাটা হচ্ছে না। সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করা যায়, সেটা নিয়ে মাষ্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার চারপাশের নদী দূষণের কী অবস্থা আপনারাই ভাল জানেন। নদী দূষণ কমাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রধান করে কমিটি করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে মাস্টারপ্ল্যান করেছি। খুব দ্রুত নদী দূষণ কমাতে কাজ শুরু হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্মার্ট সিটি গড়তে কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বয়োবৃদ্ধ মানুষের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বয়োবৃদ্ধ মানুষদের ঘরে রেখে যারা চাকরি বা ব্যবসায়িক কাজে বের হন, তারা যেন নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন সেজন্য একটি সিম তৈরি হচ্ছে। এ সিম ঘরে থাকবে, বয়োবৃদ্ধ মানুষের কোনো সমস্যা হলে সিমটি নিজে থেকে সিগনাল দেবে। তখনি আপনি নিশ্চিন্তে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এছাড়া স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য এক ধরনের চিপস তৈরি করছি। যেটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্কুলে পৌঁছেছে কি না পরিবার সেটা জানতে পারবে। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘আনিসুল হকের নেওয়া ১১টি ইউলুপ প্রকল্প অনেকদিন মন্ত্রণালয়ে আটকা ছিল। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে দুটির কাজ শেষ হয়েছে। তৃতীয়টি এয়ারপোর্ট এলাকায় নির্মাণ কাজ শুরু হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে শেষ করা হবে। এছাড়া এলইডি লাইট প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়েছে। খুব শিগগির কাজ শুরু হবে।’
সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আবদুল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক এস এম ফয়েজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ডিটেইল এরিয়া প্লেন (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লেনার্সের সাধারণ সম্পাদক আদিল মোহাম্মদ খান।
এর আগে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের নবনির্বাচিত ১৫ সদস্যের কমিটিকে ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন।