গোটা বিশ্ব এখন কাঁপছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলের অন্তত ২৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২ শতাধিক মানুষের।
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের এই তাণ্ডবের মধ্যেই বঙ্গোপসাগর দিয়ে ধেয়ে আসছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’!
এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানবে এই ‘আম্ফান’।
তবে কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ওই আম্ফান, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর ওয়ান ইন্ডিয়ার।
আম্ফান নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড।
‘আম্ফান’ ২০১৯-এর ঘূর্ণিঝড় তালিকার শেষ নাম। ‘নর্দান ইন্ডিয়ান ওশেন সাইক্লোন’-এর নামগুলো আটটি দেশ পর্যায়ক্রমে রাখে। এই পর্যায়ক্রমগুলো হল-বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সেই পর্যায়ক্রমে আট নম্বর তালিকায় শেষ নামটি হল আম্ফান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলে সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণিঝড় ভারতীয় মূল ভখণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
ভারতের পূর্ব উপকূলে মাত্র চারটি ঝড় আছড়ে পড়েছে ১৮৯১ সাল থেকে। বাকি ২৪টি ঝড় বাংলাদেশ-মিয়ানমারে আছড়ে পড়েছে। এপ্রিলে ঝড়ের প্রাক ইতিহাস গত ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আরব সাগরে এপ্রিল মাসে সে অর্থে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়নি এবং একইভাবে বঙ্গোপসাগরে জুনেও কোনও ঝড় ওঠেনি।
গত দশকে এই দুই অববাহিকার প্রতিটিতে চারটি ঘূর্ণিঝড় দেখা গেছে। মরুত এই দশকের প্রথম ঝড়। এটি ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল সংগঠিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী উল্লম্ব বায়ুর কারণে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়ে।
এপ্রিল বা মে মাসের প্রথমার্ধে ঘূর্ণিঝড়গুলো বেশিরভাগই বাংলাদেশ বা মিয়ানমারকে আঘাত করে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফণী গত বছর ব্যতিক্রম ছিল। যা এপ্রিলের শেষদিকে উড়িষ্যা উপকূলকে ধ্বংস করে দেয়।
ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে ওয়ান ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, খুব শিগগিরই বঙ্গোপসাগরে এই মৌসুমের প্রথম সাইক্লোন তৈরি হতে চলেছে। ২৭ এপ্রিল আন্দামান সাগরের ওপর এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরদিন ২৮ এপ্রিল একই অঞ্চলে থেকে তা শক্তি সঞ্চয় করবে। ২৯ এপ্রিল ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরদিন ৩০ এপ্রিল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সমুদ্রের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করবে।