ডেস্ক: জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে মঙ্গলবার (২ জুন) পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৫ হাজার ৩৩৩ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশের সদস্যরা।
অন্যদিকে সুচিকিৎসা ও সুনিবিড় পরিচর্যায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ২ হাজার ৫৯ জন পুলিশ সদস্য করোনাজয় করে সুস্থ হয়েছেন। পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, চলমান করোনাযুদ্ধে এখন পর্যন্ত পুলিশের ১৬ সদস্য শাহাদাতবরণ করেছেন।
সর্বশেষ করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে গতকাল প্রাণ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুরের পল্লবী জোনের নিরোদ চন্দ্র মন্ডল (৫২) নামে আরও এক সিভিল স্টাফ। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে পুলিশের ১৬তম সদস্যের মৃত্যু হলো।
সোমবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিরোদ চন্দ্র মৃত্যুবরণ করেন। করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের ১৭শ ৬ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে পুলিশ সদস্যরা দেশের সেবায় পুনরায় আত্মনিয়োগ করছেন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন করোনা আক্রান্ত এক-তৃতীয়াংশ পুলিশ সদস্য।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি জানানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহে এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে’।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে আক্রান্ত পুলিশদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে।