রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
নৈতিকতা ও মানবসেবাই রোটারির প্রকৃত শক্তি ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে: উত্তরা ও উত্তরখানে বিএনপির লিফলেট বিতরণে সমাবেশে আফাজ উদ্দিন ৩১ দফার ভিত্তিতে মানবিক রাষ্ট্র গঠনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে: এস এম জাহাঙ্গীর পিআর পদ্ধতি চায় যোগ্যতাহীনরা, জনগণ চায় ব্যালটে ভোট দিয়ে সরকার গঠন – আমিনুল হক শ্যামলীর ইইউবি ক্যাম্পাস বিক্রির অভিযোগে ভূয়া ট্রাস্টির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন জবাবদিহিমূলক সরকার গড়বে বিএনপি: আমিনুল হক হেলমেটে বলের আঘাতে মাঝপথেই টেস্ট শেষ বেনেটের সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল সার্বিয়া ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর অর্ডিন্যান্স’-এর খসড়া অনুমোদন নিরাপত্তার স্বার্থে আমার বৈধ অস্ত্র আছে: আসিফ মাহমুদ

শিকদার গ্রুপের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদকে অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৪৩ বার পঠিত

শিকদার গ্রুপ মানিলন্ডারিং করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। শিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে ভুয়া ডকুমেন্টে, একই জমি ও প্রকল্প বার বার দেখিয়ে ৭ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক লোন নিয়ে তা মানিলন্ডারিং-এর মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে এ সব অনিয়ম ওঠে আসার পরেও রহস্যজনক ভাবে এগুলো ধামাচাপা পড়ে আছে।

সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরিত এক অভিযোগে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে ফ্রিডম ফাইটার জেনারেশন (এফএফজি) শহীদুজ্জামান এ অভিযোগ প্রেরণ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ডেপুটি গভর্নার এবং দুদকের এক উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে শিকদার গ্রুপের কর্ণধারদের বিশেষ সম্পর্ক থাকার কারণে মানিলন্ডারিং অভিযোগ আমলে নেয়া হয় না, দুদকের এক আলোচিত সমালচিত পরিচালক প্রায় শিকদার গ্রুপের থাইল্যান্ড এর পেকুয়া রিসোর্টে ও তাদের প্রমোদ বালাখানায় গিয়ে সময় কাটান বলে অভিযোগ শোনা যায় এবং শিকদার পরিবার থেকে মাসিক মাসহুৱা নিয়ে থাকেন বলে চাওর রয়েছে, এছাড়া কথিত আছে দুদকের চেয়াম্যান মহোদয়ের এক ঘনিষ্ট পরিচালক শিকদার গ্রুপের সাথে বিশেষ স্বক্ষ রয়েছে।শিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের তিনটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও কেউ লাগাম টেনে ধরছে না, যেমন- শিকদার মেডিকেল কলেজের নামে সমুদ্রগামী লাক্সারি বোট ক্রয়ের টাকা আমেরিকায় পাচার করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত লাক্সারি বোটের দৃশ্যমান অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাচ্ছে না শিকদারের পুত্রবর গুলশানের বাসায় দেশি ও বিদেশি উচ্চমানের কলগাল ও বিদেশি মদ আফিম সরবরাহ করে সরকারের কতিপয় অসাধু উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মনোরঞ্জনের মাধ্যমে তাদের কৃত আপরাধ ধামাচাপা দিচ্ছে। ব্যাংক থেকে ভুয়া প্রকল্পের নামে ভুয়া ডকুমেন্টে হাজার হাজার কোটি টাকার লোন নিয়ে তা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে, এসব কাজে শিকদার পূত্র রণ হকের একান্ত বিশ্বস্ত বন্ধু ও শিকদার পাওয়ার প্লান্টের দায়িত্বেরত পরিচালক হুন্ডি চক্রের হোতা জনৈক মোহনকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের লুটপাট অনিয়ম সহ সকল অপকর্মের তথ্য পাওয়া যাবে আর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কিছু টাকা ত্রাণ নিয়ে তার ফটোসেশন করে তা বাহবা নেয়ার জন্য কিছু গণ মাধ্যমে প্রচার করছে।

বর্তমানে শিকদার গ্রুপের কর্ণধাররা প্রধানমন্ত্রীর কন্যার নামে রাজধানীর রায়েরবাজারে একটি অটিস্টিক হাসপাতাল করার নামে ফন্দিফিকির করে ব্যাংক থেকে আবারো ১ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে তা বিদেশে পাচার করার পায়তারা এখনও করছে। একজন ব্যবসায়ী শিকদার গ্রুপের এ সব অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত ভাবে দায়ের করে ত্বরিতগতিতে তদন্ত করে। শিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছে।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার ছেলে-মেয়ে ৪ জন পরিচালকের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্পে বা একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে ভুয়া ও জাল কাগজপত্র ব্যাংকে মর্গেজ হিসেবে জমা রেখে শিকদার গ্রুপের নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ব ৮টি ব্যাংক থেকে ধাপে ধাপে কমপক্ষে ৭ হাজার কোটি টাকার লোন নিয়ে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে দেয়া হয়েছে । বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাংকের দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হলেও সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর এর সাথে শিকদার গ্রুপের কর্ণধারদের বিশেষ সম্পর্ক থাকার কারণে সংশ্লিষ্টরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে একটি মহল মনে করছে । শুধু তাই নয় শিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের ব্যাপারে তিনটি প্রতিবেদন সহ একাধিক অভিযোগ দাখিল করা হলেও এখনও পর্যন্ত রহস্যজনক ভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা (এনবিআর) কেউই মামলা করেনি।

 

এছাড়া এই দুর্নীতিবাজ শিকদার পরিবারটির আরেকটি কুকৃত্তি হলো, শিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজে ফরেন স্টুডেন্টদের ভর্তির অনুদানের টাকা ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ এর FIC একাউন্টে ডলার জমার সাথে তাদের লুটপাটের মোটা অংকের টাকা FIC একাউন্টের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করছে। উক্ত একাউন্টটি সুষ্ঠ তদন্ত করলে পাওয়া যাবে শিকদার পরিবারের আরো দুর্নীতির চিত্র। এতকিছুর পরেও এ ক্ষেত্রে দুদক/ প্রশাসন সকলে কেনো নিরব? রাষ্ট্রের কাছে এবং জনগণের টাকা এভাবে লুটপাটের পরেও এখনও পর্যন্ত শিকদার গ্রুপের কর্ণধারদের ফৌজধারি ধারার আইনে মামলায় গ্রেফতার করে কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না ! সেটি এখন দেশের সচেতন নাগরিকদের জিজ্ঞাসা? শিকদার গ্রুপের এ সব অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কিছুদিন আগে দেশের প্রথম শ্রেণীর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় শিকদার গ্রুপের পেটুয়া বাহিনীর সদস্যরা ওই রিপোর্টারকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল, তার সুষ্ঠ বিচার হয়নি এবং শিকদার গ্রুপের দৌরাত্ত কমেনি বরং দিনে দিনে তাদের অপরাধ জগতের জৌলস বেড়েই চলেছে, শিকদার পরিবারের গুলশান ও ধানমণ্ডর বাড়ীতে অভিযান চালালে জানতে পারবেন সেখানে রয়েছে বিচিত্র সিকিউরিটি লক ও টর্চারসেল, রয়েছে নানা রকম মাদকের মজুদ ও বিনদনের বিচিত্র উপকরনসহ ব্লাকমেইল করার নানা ধরনের কারসাজি, দেশের বড় বড় আমলা ও বিদেশী ব্যবসায়ীদেরকে নিজেদের কব্জায় আনার জন্য মদ ও মেয়েদেরকে ব্যবহার করে থাকে এবং সেটি সিসি ক্যামেরায় বন্দী করে রেখে ব্লাকমেইল করে থাকে, শুধু দেশেই নয় বিদেশেও শিকদার পরিবারের দামী গাড়ী বাড়ি নির্মাণ সহ প্রচুর অর্থ জমিয়েছে কানাডা-আমেরিকা সহ বিশেষ করে থাইল্যান্ড ও দুবাইতে অর্থ পাচার করে আলিশান ফ্লাট বাড়ি এবং রিসোর্ট ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে এছাড়া ২৫ নং ব্যঙ্গালোতে প্রমোদ বালাখানা তৈরী করেছে। অপরদিকে বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোর্শেদ খানের মিলিনিয়াম মটরস এর নামে ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ থেকে অনেক টাকা ঋণ নিয়েছে যা ভাগাভাগী হয়েছে। মোর্শেদ খানের ৫০০ শত কোটি টাকার গ্যারান্টী ক্যাশ হয়ে যাওয়ার পরে সেই টাকা রিকোভারী না করেই আরো ৪০০ শত কোটি টাকা ঋণ দিয়ে ভাগাভাগি করেছে । এছাড়া শিকদার গ্রুপের চরম সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির চিত্র জানতে হলে শিকদার রিয়েলস্টেট এবং R & R এভিয়েশন এর নামে এবং আরো অনেক নামে অর্থ লুটপাট করেছে, এসব বিষয়ে দুদককে আরো শক্ত হাতে অনুসন্ধান চালালে এবং শিকদার পরিবারের ছেলে সন্তানদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com