সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, কবিতা আপামর জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ ও উদ্দীপ্ত করার অন্যতম হাতিয়ার। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কবিতা ও রণসংগীত মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর জনসাধারণকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। অসাধারণ বক্তৃতা মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারে। কিন্তু কবিতা এর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব ও কবিতা বাংলার যৌথ আয়োজনে পাঁচদিনের ‘আন্তর্জাতিক লেখক দিবস ও দরিয়ানগর আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব-২০২২-২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সমাপনী আয়োজন উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের সারাদেশে সাহিত্যমেলা ও কবিতা উৎসব আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে মোতাবেক আমরা এরই মধ্যে দেশের ৪০টিরও অধিক জেলায় সাহিত্যমেলার আয়োজন শেষ করেছি। আগামী বইমেলার আগেই বাকি জেলায় আমরা সাহিত্যমেলা আয়োজনের কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা রাখি।
তিনি বলেন, সাহিত্যমেলা শেষে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে চার খণ্ডের প্রকাশনা করা হবে। আর এর মাধ্যমে সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ রবিউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি কামাল চৌধুরী।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া থেকে আসা লেখক রাজা রাজেশ্বরী স্নেহা রামান ও লিলি মুলত লুলিয়ানা, ভারতীয় লেখক দোলা বাজপেয়ী ও ড. সুদীপ্ত চক্রবর্তী এবং নেপাল থেকে আসা লেখক বিধান আচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যে মাশরুর আরেফিন, শিশুসাহিত্যে দিলারা মেজবাহ ও আসলাম সানী, অনুবাদে রেজাউল করিম, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে শ্যামসুন্দর শিকদার, কবিতায় সোহাগ সিদ্দিকী ও মুজিবুল হক কবির, মননশীল প্রবন্ধে ড. নাজমুল হককে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব সাহিত্য সম্মাননা ২০২১ দেওয়া হয়।