নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ মালিকানাধীন শ্যামলী ক্যাম্পাস জাল দলিল বানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে অবৈধ পরিচয়দানকারী ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরহাদ খান তামিমের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে
আজ ২ জুলাই বুধবার ইউনিভার্সিটির গাবতলী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ইউনিভার্সিটির নামে শ্যামলীতে নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে যেটি রূপায়ণ হাউজিং স্ট্যাট কোম্পানির কাছ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে ক্রয় করেন তৎকালীন ভিসি ড. মকবুল আহমেদ খান।
পরবর্তীতে ৩ জুলাই ২০২২ সালে জাল দলিলের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের মালিকানা নিজের নামে করে নেন ইউনিভার্সিটি ভিসি ড. মকবুল আহমেদ খানের ছেলে ফরহাদ খান তামিম।
তারা বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগ পতনের পর ভিসি মকবুল আহমেদ খানের ছেলে ফরহাদ খান তামিম, জোরপূর্বক ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন আমি এই ক্যাম্পাসের উন্নয়ন করতে এসেছি, আমার বাবার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে এসেছি আমাকে সময় দেন,পাশাপাশি আমাকে সাহায্য করবেন আপনারা। কিছুদিন পরে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে, তাদের শ্যামলী ক্যাম্পাস বিক্রি হয়ে গেছে এবং জাল দলিলের মাধ্যমে নিজের নামে বানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে নতুন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরহাদ খান তামিম। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল ইউজিসিতে গেলে, সেখান থেকে তারা জানতে পারে ফরহাদ খান তামিম ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নন,তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এখনো ডক্টর মকবুল আহমেদ খানই বহাল।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করেন, বর্তমান ভুয়া ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরহাদ খান তামিম দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, আমরা জীবনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব আমাদের ক্যাম্পাসকে বাঁচানোর জন্য। শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাবা ছেলের দ্বন্দের মাঝে আমাদের লেখাপড়ার মান নষ্ট হচ্ছে, এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন ভুয়া ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ না করলে আমরা সকল শিক্ষার্থী তাকে অপসরণের আন্দোলনে যাবো।