বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

ফেনী নদীর পানিচুক্তি নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২১২ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:চুক্তির আগে এভাবেই পাম্প দিয়ে পানি তুলে নেয় ভারত
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত ফেনী নদীর পানিচুক্তি নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। রিটে ফেনী নদী থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পানি সরবরাহ ও পাম্প বসানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এই রিট মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চুক্তি স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে রিট আবেদনে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রিট আবেদন দায়ের করেন। পরে তিনি নিজেই সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

আইনজীবী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে, চুক্তির আগেই অবৈধভাবে ২০১০ সাল থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে অন্তত ৩৪টি স্থানে পানির পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে দৈনিক প্রায় ৩০-৩৫ কিউসেক পানি তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাবার পানি সরবরাহের জন্য ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি দিতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সমস্যা হলো, উক্ত পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে পানির পাম্প ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনার ওপর বাংলাদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা আবশ্যক। অন্যথায় চুক্তির ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভারত যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে অধিক পরিমাণে পানি নেয়, সেক্ষেত্রে ফেনী নদীর মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতিসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে, যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ (এ) এর লঙ্ঘন হবে।’

রিটে আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে যেকোনো রাষ্ট্রের কোনো চুক্তি যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় সেক্ষেত্রে ওই চুক্তির ওপর হস্তক্ষেপ করার পূর্ণ ক্ষমতা হাইকোর্ট বিভাগের আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালে তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের কারণে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এই মামলাতেই শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট ভারত সরকারকে ছিটমহল বিনিময়ে অনুমোদন দেয় এবং এর মাধ্যমে তারা একটি রেফারেন্স (নজীর) সৃষ্টি করে যে, যেকোনো বৈদেশিক চুক্তিতে হাহকোর্টের পূর্ণ ক্ষমতা আছে সেই চুক্তির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার, যদি তা সংবিধানের সঙ্গে কোনোভাবে সাংঘর্ষিক হয়। বাংলাদেশের হাইকোর্টেরও এ অধিকার রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com