বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে আর লড়বেন না ব্যারিস্টার সরোয়ার পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আসিফ নজরুল কিছু দল নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দাবাড়ু মনন রেজা নীরকে আর্থিক সহায়তা দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক টানা দুই ম্যাচে ডাক পেলেন কোহলি সৌদি আরবের চতুর্থ গ্র্যান্ড মুফতি হলেন আল ফাওজান এনসিপি ও জামায়াতকে আশ্বাস: নির্বাচনের আগে প্রশাসনের রদবদল তদারকি করবেন প্রধান উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলে সংসদের ক্ষমতাকে খর্ব করবে কিনা, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির নিরাপদ সড়ক দিবসে ইইউবি’র আইন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আতিফ আসলাম সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত;স্টুডেন্ট এলায়েন্সের উদ্বেগ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করছে সরকার

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজজট সামাল দিতে দুই মাস লাগবে

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ মে, ২০১৯
  • ৩৮৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গত আড়াই দিনে বর্হিনোঙরে অপেক্ষামাণ জাহাজের সারি লম্বা হয়েছে। এই জাহাজজট সামাল দিতে দুই মাসেরও বেশি লাগবে। ঘূর্ণিঝড় ফণী কেটে যাওয়ার পর রোববার সকাল থেকে বর্হিনোঙরে এবং চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখানোর নির্দেশ দেয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট-থ্রি জারি করে। ওইদিন দুপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য উঠানামাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বিপদ সংকেত নেমে যাওয়ার পর বন্দরের অ্যালার্টও প্রত্যাহার করা হয়েছে। বহির্নোঙরে অপেক্ষামাণ জাহাজগুলোকে শিডিউল অনুযায়ী জেটিতে আসার কাজ শুরু হয়েছে। সিএন্ডএফগুলোকে জেটি ও ইয়ার্ডে এসে তাদের পণ্য নিয়ে যেতে বলেছি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এ নির্দেশনা গতকাল বিকেলের হলেও সাগর উত্তাল থাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে বর্হিনোঙর এবং দেশের অন্যান্য গন্তব্যে লাইটারেজ জাহাজ, ফিশিং ভ্যাসেলসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল গতকাল শুরু করা যায়নি। অবশ্য রোববার সকাল থেকে বহির্নোঙরে এবং বন্দরের অভ্যন্তরে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ফণীর ছোবল থেকে বাঁচতে চট্টগ্রাম বন্দর জাহাজ শূন্য করা হয় গত বৃহস্পতিবার সকালে। ওই সময় বিভিন্ন জেটিতে থাকা খোলা পণ্যবাহী এবং কন্টেইনারবাহী ২১টি জাহাজকে বর্হিনোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্হিনোঙরের বড় জাহাজগুলোকে গভীর সাগরে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে এবং বাইরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে ১৭০টি জাহাজ ছিল। এর মধ্যে ফণী’র কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় খোলা পণ্য ও কন্টেইনার নিয়ে আটকা পড়ে ৪০টি জাহাজ।

অপর একটি সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে দৈনিক ২০টি জাহাজ পণ্য নিয়ে আসে। এর মধ্যে গড়ে ১০টি জাহাজ পণ্য নিয়ে যায়। সম্প্রতি পবিত্র শব-ই-বরাত, মে দিবস, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ৪দিন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে মূলত: সাতদিন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com