নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালটি শিগগিরই এক হাজার বেডে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নতুন ভবন উদ্বোধন ও ৫০০ শয্যায় বর্ধিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ৫০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতালটি ৩০০ শয্যায় রূপান্তরিত হয়েছে। আজ হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হলো। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই দেশের একমাত্র ক্যান্সার গবেষণার এই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটির শয্যাসংখ্যা এক হাজার বেডে রূপান্তরিত করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এখানে অনেক উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালে প্রায় সাড়ে পাঁচশ জন রোগী রেডিওথেরাপি এবং ২৭৫ জন রোগী কেমোথেরাপি পাচ্ছেন। অধিকাংশ ক্যান্সার রোগীকে শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি মূল্যবান কেমোথেরাপির ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এটি ক্যান্সার চিকিৎসায় দেশের সাধারণ মানুষের নানাবিধ সহায়তা করছে।
ক্যান্সার রোগের ভয়াবহতা তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের মোট মৃত্যুর ৬৫ ভাগই হচ্ছে অসংক্রামক রোগের কারণে। মানুষ অসংক্রামক রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ক্যান্সার রোগে। এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণ মানুষ এই রোগের চিকিৎসা করতেই পারে না। এ কারণে বর্তমান সরকারের আমলে এই ২০২০ সালেই সারাদেশের আট বিভাগে ১০০ শয্যার আটটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সেনাল, মহাসচিব আব্দুল আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।