মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

৬ টাকায় ঢাকায় আসা মন্ত্রীর চোখে এখন যেমন বাংলাদেশ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯
  • ২৭৪ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: বর্তমান সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া গ্রামে ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যখন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র, তখন তিনি ৬ টাকা ভাড়া দিয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় এসেছিলেন। গত শনিবার (১১ মে) রাতেও তিনি ট্রেনে করে সিলেট থেকে ঢাকায় এসেছেন। ট্রেনে আসার পথে রোববার সকালে তিনি বাংলাদেশের যে রূপ দেখেছেন, সেটার সঙ্গে ছোটবেলা দেখা দেশের তুলনা করে আজ (১২ মে) একটি বক্তব্য দিয়েছেন।

বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ছোটবেলায় তিনি খড়ের ঘর দেখেছেন, মরিচাপড়া টিনের ঘর দেখেছেন। দেখেছেন মাটির ঘর। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি নেই। বাড়িঘর নতুন রঙের। সাদা, লাল, সবুজ। লাল আর সুবজ রঙের খুব প্রাধান্য। সেই সময় যে গরু দেখেছেন, সেটাও পরিবর্তন হয়ে গেছে। গরুগুলার চেহারা ৪০ বছর আগের তুলনায় ভালো। উন্নতমানের গরু, উন্নতমানের ছাগল। সবকিছুর উন্নয়ন হয়েছে বাংলাদেশে।
রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারনেশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘২০১৯-২০ বাজেট : থটস অ্যান্ড অ্যাকসেপ্টেশন অব স্টুডেন্টস’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

এমএ মান্নান বলেন, ‘গতকাল সারারাত ট্রেনে ছিলাম। সিলেট থেকে ১০টায় ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল, তা ছেড়েছে দেরিতে। ঘুমে-অঘুমে সকাল ৭টায় আমি কমলাপুরে নেমেছি। ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টা, যখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। তখন বোধহয় ভৈরব পার হচ্ছিলাম। তখন উঠে জানালা খুলে আমার নিজের দেশ, নিজের ঘর-বাড়ি দেখছিলাম। চির পরিচিত দেশ। এবং সত্যি বলছি, এ ট্রেনে ৬০ বছরে আমি কতবার যে এসেছি।’

‘দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় ৬ টাকা ভাড়া দিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম। মাঝে মাঝে ভাড়া ফাঁকি দিয়েও ঢাকায় এসেছি। সেই ট্রেনে এত বছরে আমি কতবার এসেছি। রাস্তার দু’পাশে আমি কী দেখেছি? সেটি আমি বলতে চাই। খড়ের ঘর, কিছু গরু আর নদী অথবা সড়কের পাশে যে খাল থেকে মায়েরা পানি উঠাচ্ছে, ইত্যাদি। মরিচাপড়া টিনের ঘর অসংখ্য,’যোগ করেন মন্ত্রী।

পরিবর্তন তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, ‘এখন কী দেখছি, গত কয়েক বছরে? সেই খড়ের ঘর এখন আর নেই। সেই মাটির ঘরগুলো নেই এখন। আমার নিজের ঘর আমি খুঁজে পাচ্ছি না, যে ঘরে আমি বড় হয়েছি। অনেক বছর বাদে সুনামগঞ্জের হাওরে সেই মায়েদেরও দেখছি না। যে কাপড়ে দেখছি, সে আমার চিরপরিচিত মা-চাচিদের কাপড় নয়। আমি ভালোভাবে দেখছি। ছেলেমেয়েদের দেখছি, চমৎকার পোশাকে ঝাঁকে ঝাঁকে যাচ্ছে। বাড়িঘর নতুন রঙের। সাদা, লাল, সুবজ। লাল আর সবুজের খুব প্রাধান্য। এ বাংলাদেশে আরেকটা বিষয়, যেখানে যাই সেখানেই লাল আর সবুজ মিশিয়ে দেয়। টিন সবুজ, ঘরের টিন লাল। কেউ কেউ আবার উপরের অংশ করেছে লাল, নিচের অংশ আবার সুবজ।’

‘আজকে সকালে আরও দেখলাম, বিশেষ করে, ভোরে। আবার যখন নরসিংদী পার হয়ে গেলাম, যখন শিল্প এলাকায় প্রবেশ করছি, কী চমৎকার সব দালান হচ্ছে। শিল্পপতিরা বানাচ্ছে। যেগুলা আমরা বিদেশে গেলে দেখি। তার মানে কী, বাংলাদেশ সত্যি বদলে যাচ্ছে। এখন এটা মঙ্গলজনক কী অমঙ্গলজনক, সেটা ভিন্ন কথা। গবেষকরা নানা মন্তব্য করেন, আমরা তাদের মন্তব্যে লাভবান হই’, বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

দেশে মৌলিক গবেষণা হচ্ছে না বলেও এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আক্ষেপ করেন।

তিনি বলেন, ‘গবেষণা চলবে, আমি চাই আরও গবেষণা হোক। আমাদের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই আমাদের বলেন, আরও বেশি গবেষণা করুন। কেন আমরা গবেষণা পাই না, আমাদের শিক্ষকদের কাছ থেকে। কেন আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো ভালো প্রপোজাল আসে না। কেন মৌলিক গবেষণা নেই এ দেশে। তিনি প্রায়শই আক্ষেপ করেন। আমাদের অর্থ আছে। কিন্তু ওই ধরনের আরও প্রস্তাব চাই, যেগুলা জীবন সম্পৃক্ত, যেগুলা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত, বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

সূত্র: জাগোনিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com