নিউজ ডেস্ক: বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরতদের নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জনিয়ে প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে দ্রুততার সঙ্গে গ্রাহকদের পাশে দাঁড়াতে এবং রোস্টার করে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করারও নির্দেশনা দেন।
সোমবার (২০ এপ্রিল) বারিধারার বাসভবন থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং এর অধিনস্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা’ সংক্রান্ত সভায় প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
এসময় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক জায়গা থেকে লোডশেডিংয়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। বর্তমানে পিক আওয়ারে ৯ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা হলেও গড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগছে। তবুও কেন লোডশেডিং হবে?
নসরুল হামিদ বলেন, আগামীতে ঝড়-বৃষ্টি হবে, সচেতন থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিদ্যমান প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
সভায় মহামারির সময়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান, বিভিন্ন সময়ে করা চুক্তি ও এর আওতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় ‘অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স’ নামক কোম্পানি করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যৌথ বিনিয়োগে এ ধরনের কোম্পানি হলে আমাদের সক্ষমতা অনেক বাড়তো। তিনি এ সময় গ্রিড সাব স্টেশনগুলো নিয়মিত মেরামতের নির্দেশ দেন।
ভার্চুয়াল সভায় বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং দফতর ও কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।