জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন (সিইপিআই) এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)।
করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা মূল্যায়ন ও তুলনার জন্য বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস’ (সিইপিআই) কর্তৃক নির্বাচিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হলো আইসিডিডিআর,বি।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) আইসিডিডিআর,বি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক এই নেটওয়ার্কে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত গবেষণাকেন্দ্রগুলো হলো— নেক্সেলিস (কানাডা), পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (যুক্তরাজ্য), ভিসমেডেরিসরল (ইতালি), ভিরোক্লিনিকস-ডিডিএল (নেদারল্যান্ডস), আইসিডিডিআর,বি (বাংলাদেশ) এবং দ্য ট্রান্সলেশনাল হেলথ সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলোজিক্যাল ইনস্টিটিউট (ভারত)।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আবিষ্কৃত করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলোর নির্ভরযোগ্যতা যাচাই এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মধ্যে তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষণের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে যে ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়েছে, সেখানে যুক্ত হয়েছে আইসিডিডিআর,বি। এই নেটওয়ার্কের পাঁচটি ল্যাবরেটরির মধ্যে আইসিডিডিআর,বি একটি।
আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক জন ডি ক্লেমেন্টস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিভিন্ন ভ্যাকসিনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির বিষয়টি যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে যাচাই করা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করাটা জরুরি। এটি ছাড়া একাধিক ভ্যাকসিনের মধ্যে অর্থপূর্ণ ও যৌক্তিক তুলনা করা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমে কোন ভ্যাকসিনটি জনস্বাস্থ্যের জন্য সত্যিকার অর্থে সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করছে, সেটিও যাচাই করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই কাজটি করার উদ্দেশ্যে সিইপিআইয়ের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক গঠনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিন মূল্যায়নে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে (আইসিডিডিআর,বি) এ কাজের জন্য নির্বাচন করায় আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। আমরা এই নেটওয়ার্কে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে ভূমিকা রাখবো।’
উল্লেখ্য, সিইপিআই নরওয়েভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের আগস্টে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে। গুরুতর সংক্রামক রোগের ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগে তারা সহায়তা দিয়ে থাকে। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতারা হলো— ভারত, নরওয়ে এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।