মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

কক্সবাজারে এইডস ছড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২
  • ৯৬ বার পঠিত

রোহিঙ্গা আসার আগে এইডস রোগের প্রাদুর্ভাব ছিল না। রোহিঙ্গাদের কাছে এইচআইভি রোগের প্রাদুর্ভাব থাকার কারণে ও তাদের অবাধ মেলামেশা ও এক জায়গা বেশি সংখ্যক জনবল হওয়ার কারণে এইচআইভি ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবেই পর্যটন নগরী কক্সবাজার এইচআইভি (এইডস) ভাইরাসের ঝুঁকিতে চলে যাচ্ছে। গত জুন মাসে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। এ নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১০ জন। এরমধ্যে ৬১২ জনই রোহিঙ্গা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র আরো জানায়, কক্সবাজার জেলায় ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ৭১০ জনের মধ্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছে ৫০৫ জন ও উখিয়া হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে ২০৫ জন। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১১৮ জনের মধ্যে ৬১ রোহিঙ্গা এবং ৫৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা।

জানা গেছে, এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা বেশি। রোহিঙ্গাদের অসচেতনতার কারণে তাদের কাছ থেকে এই রোগ কক্সবাজারের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরার কারণে এই রোগের সংখ্যা কক্সবাজারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা তরুণীর যাতায়াত। আর এ কারণে এই রোগটি এখানে ছড়াচ্ছে।

এ ছাড়া পর্যটন শহর হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে যৌনকর্মীদের ব্যাপকহারে কক্সবাজার আগমন ও এইডস বিস্তারের আরেকটি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তালিকায় শুধু যুবক যুবতী নয় আছে শিশুও। কারণ, কোনোভাবে এই ভাইরাস তাদের শরীরে গেছে। ভাসমান যৌনকর্মী ছাড়াও প্রবাসী অনেকেই এইডস আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরছেন।

কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে স্থানীয়দের মেলামেশা হচ্ছে। এমনকি যৌন সম্পর্কেও জড়াচ্ছে অনেকে। এ ছাড়াও কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় শত শত রোহিঙ্গা নারীদের অবাধ বিচরণ। যদি সচেতনতা অবলম্বন ও যৌনকর্ম থেকে বিরত থাকা যায় তবে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান জানান, বিশ্ব এখন রোহিঙ্গাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এই রোগটি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ছে। যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের আলাদা না করার কারণে এই রোগ আরো ব্যাপকভাবে ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com