মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই: আমিনুল হক জাপানে দক্ষ চালক নিয়োগে বাংলাদেশে ড্রাইভিং স্কুল স্থাপনের ঘোষণা ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ আজ স্বচ্ছ রাজনীতি ও মুক্ত চিন্তার পরিবেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকেই এগিয়ে আসতে হবে — আমিনুল হক শেখা আর প্রস্তুতিতে চোখ বাংলাদেশ অধিনায়কের মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে নেমেই নাচলেন ট্রাম্প জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে আমরা যেন কোনোভাবে আইনের বাইরে না যাই: সালাহউদ্দিন আহমেদ ৩১ দফা বাস্তবায়নের এম এ মালিকের গনসমাবেশে জনস্রোত বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক- ৪ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ

ঝুঁকি নিয়েই সাগরে মাছ ধরতে যান জেলেরা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২
  • ১৭৪ বার পঠিত

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটিয়ে ফের ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে সাগরে যাচ্ছেন কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা। কিন্তু ট্রলারে নেই জেলেদের জীবনের নিরাপত্তা সরঞ্জাম। কয়েকটিতে লাইফ জ্যাকেট থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। জেলেদের অভিযোগ, গভীর সাগরে পাওয়া যায় না দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বার্তা। এ অবস্থায় জেলেদের আবহাওয়া বার্তা পৌঁছানোর জন্য জিপিএস মেশিন দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল কদমতলি গ্রামের জেলে রাশেদ। গত শুক্রবার সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ট্রলারডুবিতে প্রাণে বেঁচে ফিরলেও মারা যান তার ট্রলারের ৭ জেলে। সাগরে যাওয়ার সময় ট্রলারে ছিল না পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসামগ্রী।

নামিয়ে ফেলা হয়েছে সতর্ক সংকেত, নেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। তাই কক্সবাজার উপকূলে থেকে সাগরে মাছ শিকারে ট্রলার নিয়ে রওনা হচ্ছেন জেলেরা। কিন্তু ট্রলারগুলোতে জেলেদের নিরাপত্তায় নেই লাইফ জ্যাকেট বা বয়া। আর যে কয়েকটি ট্রলারে রয়েছে তাও ব্যবহারের অনুপযোগী।

জেলেরা বলেন, ১২ ঘণ্টা নৌকা চালানোর পর আমরা মাছ ধরি। এ সময় কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করার মতো কোনো ব্যবস্থা আমাদের থাকে না। আমাদের এখন কোনো নিরাপত্তা নেই। সাগরে মাছ শিকারে উপকূল ছাড়ার সময় ট্রলারে জেলেদের নিরাপত্তাসামগ্রী আছে কি-না, তা তদারকিতে নেই কেউ।

 

ফিশিং ট্রলার মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা চিন্তা করি এ সামগ্রীগুলো লাগবে। কিন্তু মাঝিমাল্লারাও আমাদের স্মরণ করে দেয় না যে, এগুলো লাগবে। এ ছাড়া প্রশাসনের কেউ বলে না, এগুলো ব্যবহার করতে হবে।

তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানালেন, নিরাপত্তাসামগ্রীর বিষয়গুলো মনিটরিং করার পাশাপাশি সাগরে মাছ শিকারের সময় জেলেদের আবহাওয়া বার্তা পৌঁছাতে ট্রলারে জিপিএস মেশিন দেয়া হচ্ছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, আমরা মনিটরিংয়ের মাঝেই আছি। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সচেতন করা হয়। আমরা বোটগুলোতে জিপিএস মেশিন লাগাচ্ছি।

কক্সবাজারে নিবন্ধিত যান্ত্রিক নৌযান রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার ও অযান্ত্রিক নৌযান রয়েছে বারশ’র বেশি। আর নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com