শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
গুলশানের বিলাস আর্ট লাউঞ্জ বারে অভিযান; বিদেশি মদসহ আটক-৯ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে জনগণ বিষদাঁত ভেঙে দিবে: এম এ মালিক বিএনপি নেতাদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোহাম্মদপুরে শ্রমিক দলের দোয়া মাহফিল ১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে আর লড়বেন না ব্যারিস্টার সরোয়ার পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আসিফ নজরুল কিছু দল নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দাবাড়ু মনন রেজা নীরকে আর্থিক সহায়তা দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক টানা দুই ম্যাচে ডাক পেলেন কোহলি সৌদি আরবের চতুর্থ গ্র্যান্ড মুফতি হলেন আল ফাওজান এনসিপি ও জামায়াতকে আশ্বাস: নির্বাচনের আগে প্রশাসনের রদবদল তদারকি করবেন প্রধান উপদেষ্টা

বিয়ের প্রলোভনে নার্সের পর কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, পলাতক মেয়র

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২১৬ বার পঠিত

রাজশাহীর পুঠিয়ার পৌর মেয়র আল মামুন খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন রাজশাহী কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী পুঠিয়া সদর এলাকার বাসিন্দা।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পুঠিয়া থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষর্থী একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযোগটি মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুঠিয়া থানা পুলিশ।

এদিকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গৃহীত হওয়ার পর থেকেই মেয়র আল মামুন গোপনে ছেড়েছেন নিজ এলাকা। মেয়র মামুন গন্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানান, পৌরসভায় চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিলেন মেয়র মামুন। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট তাকে ধর্ষণ করেন মেয়র। সম্প্রতি চাকরি দেবে না এমনকি বিয়েও করবেন না বলে জানান তিনি (মেয়র মামুন)। প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মেয়র আল মামুন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফলে এ বিষয়ে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারী জানান, ঘটনার শিকার ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত বছরের ১১ এপ্রিল মেয়র আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন জেলার দুর্গাপুর উপজেলার এক সেবিকা। ধর্ষণে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পরে ওই সেবিকা সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছর ১১ এপ্রিল মেয়রের লোকজন তাকে তুলে এনে নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই সেবিকাকে মেয়রের চেম্বার থেকে উদ্ধার করেন। পরে ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মেয়রকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় ওই ঘটনা রফাদফা হয়।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com