রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

টাকা দেওয়ার নামে তুলে নিয়ে শ্যালিকার সঙ্গে বিয়ে

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪৬ বার পঠিত

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মো. রবিউল নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে তালাকপ্রাপ্ত শ্যালিকার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর প্যাদারহাট এলাকার কুদ্দুস বেপারীর বাড়ি থেকে রবিউলকে উদ্ধার করেন তার বাবা। এ ঘটনায় রবিউলের বাবা বাদী হয়ে কাজীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, রবিউলকে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে অপহরণের পর কুদ্দুস বেপারীর তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে লোকজন নিয়ে ছেলেকে উদ্ধারের পরে মঙ্গলবার বিকেলে আমছের সিকদার বাদী হয়ে কাজীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী রবিউল বাটামারার পূর্ব তয়কা গ্রামের আমছের সিকদারের ছেলে।

ভুক্তভোগী রবিউল জানান, ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সজিব সরদার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে সেলিমপুর প্যাদারহাটে ডেকে নেয়। সেখান থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সজিবের শ্বশুর কুদ্দুস বেপারীর বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে কুদ্দুস বেপারীর তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে সানিয়ার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। পরে মারধর করে সেখানে আটকে রাখে।

আমছের সিকদার জানান, তার ছেলে রবিউল ঢাকার জিনজিরা এলাকায় বিরিয়ানির ব্যবসা করেন। পাশাপাশি ব্যবসা করার সুবাদে কুদ্দুস বেপারীর জামাতা সজিব সরদার কয়েক মাস আগে রবিউলের থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ধার নেন। ওই টাকা চাইতে গেলে সজিব টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরো বলেন, ১৮ আগস্ট রবিউল ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেলিমপুর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। ছেলের মোবাইল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে ছেলের সন্ধান পেতে ব্যর্থ হন। সবশেষ সোমবার রাতে রবিউল একটি মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে তার অবস্থান জানায়। পরে স্থানীয় লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কুদ্দুস বেপারীর বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় রবিউলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

মুলাদী থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, যুবককে জোরপূর্বক বিয়ে ও আটকে রাখার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com