বিনোদন প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নাম মনোয়ার হোসেন ডিপজল। একজন অভিনেতা। প্রযোজক নেতা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। নায়ক হিসেবে যাত্রা করলেও একজন ভয়ঙ্কর ভিলেন হিসেবে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পান। নায়ক মান্নার সঙ্গে তার জুটি ছিলো দর্শকের সেরা পছন্দ।
এই দুই তারকার অনেক সিনেমা সুপারহিট হয়েছে। জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেইসব সিনেমায় এই দুজনের অনেক সংলাপ। বিশেষ করে ডিপজলের মুখের অনেক সংলাপ মুখে মুখে ফিরেছে মানুষের। ‘সানডে মানডে ক্লোজ কইরা দিমু’, ‘আহো ভাতিজা আহো’, ‘সীল মাইরা দিমু’ ইত্যাদি।
এখনো এসব সংলাপ প্রায় প্রতিদিনই ভিডিও কিংবা ছবি আকারে ভাইরাল হচ্ছে ফেসবুকে ট্রলের হাত ধরে। সেই তালিকায় যোগ হলো আরও একটি নতুন ভিডিও। তবে এটি ট্রল হিসেবে নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাই ভিডিওটি শেয়ার করছেন সামাজিক সচেতনতার অংশ হিসেবে।
দেশের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের আরএফএল’র সৌজন্যে চলছে ‘দেশ আমার দোষ আমার’ শিরোনামের একটি সামাজিক সচেতনতার ক্যাম্পেইন। তার অংশ হিসেবে একটি ভিডিওতে দেখা গেল ডিপজলকে।
সেখানে ঢাকাই সিনেমার ‘ডেঞ্জারম্যান’ খ্যাত এই অভিনেতাকে দেখা গেল সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে বার্তা প্রচার করছেন। রং সাইডে গাড়ি চালানো চালককে ‘ভাতিজা’ সম্বোধন করে তিনি সাবধান করছেন। তার মুখের সংলাপটি এমন, ‘কী ভাতিজা, নবাব হইছো, রং সাইডে গাড়ি চালাও রাস্তা চেনো না। ফিডার খাও?’
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নায়ক মান্নার মৃত্যুর পর ভেঙ্গে যায় মান্না-ডিপজল জুটি। প্রিয় বন্ধু ও সহঅভিনেতাকে হারিয়ে অনেকটাই যেন একা হয়ে পড়েন এই অভিনেতা। কমে আসে তার ভিলেন চরিত্রের জনপ্রিয়তাও। ডিপজল তখন ক্যারিয়ারে টার্ন করেন চরিত্র অভিনেতা হিসেবে। ‘দাদীমা’, ‘চাচ্চু’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তাকে দেখা গেছে দারুণ সব ইতিবাচক চরিত্রে। সেই চরিত্রগুলো লুফে নিয়েছিলো বাংলার দর্শক।
কিন্তু হঠাৎ করেই দেশীয় সিনেমায় একটা নেতিবাচক পরিবর্তন এসে গেল। ডিজিটাল সিনেমার স্লোগান তুলে বিদেশি সংস্কৃতির জয়জয়কার দেখা গেল ঢাকাই সিনেমাতে। সিনেমাতে এলো রাজনৈতিক পরিবর্তনও। সেই স্রোতে টিকে থাকতে ব্যর্থ হলেন ডিপজল। নিজেকে তিনি গুটিয়ে নেন সিনেমা থেকে। হঠাৎ করে নানারকম শারীরিক অসুস্থতায় ভুগেন তিনি। বর্তমানে ভালো আছেন।
বেশ অনেকদিন দূরে থেকে ২০১৬ সালে নতুন করে সিনেমায় আসেন ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ছবির শুটিং দিয়ে। তবে প্রত্যাবর্তন সফল হয়নি তার। বর্তমানে কিছু ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বলা যায় আলোচনার বাইরেই রয়েছেন তিনি।
কথা বলার সময় মুখে বড় বড় বুলি আর অন্যের কারনে দেশটা গেলো বলে গলা ফাটালেও বাস্তবে আমরা অনেকেই নিয়মগুলো ঠিকমত মানি না। রাস্তায় যখন সময় বাঁচাতে বা ঘুরানো রাস্তা শর্টকাটে পার হতে উল্টা পথে গাড়ি নামিয়ে দেই, নিজের দোষ তখন বেমালুম ভুলে যাই। কাউকে দোষ দেয়ার আগে, আসুন নিজের দোষটা শুধরে নেই। #দেশ_আমার_দোষ_আমার
దీనిలో Click పోస్ట్ చేసారు 4, జూలై 2019, గురువారం