হাফসা উত্তরা : আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রগামী সৈনিক
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র-যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হুদা মিঠুকে পতিত নির্দয় নিষ্ঠুর ফ্যাসিস সরকারের আমলের সাজানো মামলায় সাজার ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
আজমল হুদা মিঠুকে গ্রেফতার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মামলা রয়েছে। ঔ মামলায় তার সাজার ওয়ারেন্ট ছিলো। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় ও ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছর যাবত তিনি জেল-জুলুম হামলা- মামলার স্বীকার হয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি প্রায় ৭০টি মামলার আসামি হয়েছিলেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে উত্তরা আজমপুর রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেটের সামনে থেকে তাকে নিয়ে যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আজমল হুদা মিঠুকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে নিরলস ভাবে কাজ করতে
জানা যায়, তিনি ছাত্র জীবন থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলকে ভালোবেসে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পতাকাতলে এসে ১৯৯৩ সালে ছাত্রদল ও ১৯৯৮ সালে ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১০ সালে অবিভক্ত উত্তরা থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১২ সালে তিনি অবিভক্ত উত্তরা থানা যুবদলের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলের জন্য নিবেদিত সাদা মনের এই মানুষটির কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ২০১৮ সালে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল নিরহংকার এই নেতার কাজের যোগ্যতা অর্জনের মধ্যদিয়ে ২০২০ সালে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সদস্য সচিব পদে নির্বাচিত হন। পরোপকারী বিনয়ী এ নেতা বিএনপির রাজনিতীতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে দলের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে আসছেন।
রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি স্ব-শরীর জুলাই-২৪ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছেন।
২০২২ সালে তরুণ ও মেধাবী এ রাজনৈতিক উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
পতিত সরকারের পুলিশ তার বাসায় ১০০ বারের ও বেশি অভিযান দিয়েছে। এ ছাড়াও তার বাসায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ,আওয়ামী লীগ ও পুলিশ বাহিনী মিলে কয়েকবার হামলা চালিয়ে বাসা বাড়ি ভাংচুর করে।
জানা যায়, গত ৩১/০৮/২০১৬ ইং তারিখ তার বাসায় হামলা চালিয়ে ফাঁকা গুলি করেন। এ সময় তার মমতাময়ী মা গুলির শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে।পরবর্তীতে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি ০২/০৯/২০১৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পরে কয়েবার তিনি জেল খেটেছেন।