মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও :ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের আমতলী মোড় থেকে টিকাপাড়া সিএম স্কুলের পূর্ব পর্যন্ত মাস্টার ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। এতে করে ঘোষপাড়া, হলপাড়া, জমিদারপাড়া, টিকাপাড়াসহ আশ পাশের এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জানা যায়, শহরের টিকাপাড়া সি,এম স্কুলের পেছন থেকে আমতলী মোড় পর্যন্ত ড্রেনটি দীর্ঘ প্রায় ৪০-৫০ বছর যাবত খুবই সংকীর্ণ ও খারাপ অবস্থায় ছিল। ফলে এতদিন সামান্য বৃষ্টির পানিতেই আমতলী মোড় থেকে টিকাপাড়া পর্যন্ত ঠিকমত পানি নিস্কাসন না হওয়ায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতো। মাঝে মধ্যে মূল সড়কে দীর্ঘসময় ধরে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকতো। এ অবস্থায় অত্র এলাকাবাসীর দীর্ঘদিন দাবি ছিল আমতলী মোড় থেকে টিকাপাড়া পর্যন্ত প্রস্বস্ত বা বড় করে মাস্টার ড্রেন নির্মাণের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইতিমধ্যে উল্লেখিত অংশের মাস্টার ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। টিকাপাড়া সি,এম স্কুলের পেছন থেকে শুরু হয়ে সার্প অফিসের সামনে পর্যন্ত ওয়াল এবং টপিক নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে উপস্থিত থেকে কাজের মান তদারকি করতে দেখা যায়। ড্রেন নির্মাণের অংশের পাশেই জানসাধারণের বাড়িঘর থাকায় কিছুটা সমস্যা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সাধারণের ক্ষয়ক্ষতি ব্যতিরেকেই ড্রেনের নির্মাণ কাজ চলছে বলে দেখা যায়। টিকাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মো: আব্দুর রহমান খাঁন বলেন, আমতলী থেকে টিাকপাড়া সিএম স্কুলের পেছন পর্যন্ত রাস্তাটি অনেক ব্যস্ততম রাস্তা। এ পাশ দিয়ে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে। ফলে কিছুদিন থেকে রাস্তাটি বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হলে আমরা এলাকাবাসী দিনে-রাতে কাজটি সম্পন্ন করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরেরর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: হাসান আলী বলেন, আমরা দেখতে পাই ড্রেনটি বিভিন্ন অংশে জনসাধারণের বাড়ির পানি বন্ধ করে কষ্ট করেই কাজ চালানো হচ্ছে। পানি অপর পার্শ্বে ভর্তি হয়ে মাঝে মধ্যে কাজের ক্ষতি হতেই দেখা যায়। সে কারনে আমরা ঠিকাদারদের অনুরোধ করেছি কাজটি দিনে ও প্রয়োজনে রাতেও অর্থাৎ তড়িৎ গতিতে করার জন্য অনুরোধ করেছি। আমরা প্রতিনিয়ত কাজের মান যাচাইয়ের জন্য উপস্থিত থাকছি। সর্বোপরী আমতলী মোড় থেকে টিকাপাড়া সিএম স্কুলের পেছন পর্যন্ত মাস্টার ড্রেন নির্মাণের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করে রাস্তাটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অত্র এলাকার বাসিন্দাসহ সাধারণ মানুষজন। উল্লেখ্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন করছে এমএসআই.টিএসসি.এমএনপি (জেভি) নামক প্রতিষ্ঠান।