প্লেইয়ার্ডে তিন দিনব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের আনন্দ আয়োজন সম্পন্ন
হাফসা (উত্তরা):
রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর। এর পাশেই গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মানে শপিং কমপ্লেক্স সেন্টার পয়েন্ট। লেভেল-৬-এ অবস্থিত আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র ‘প্লেইয়ার্ড’।সেখানে রয়েছে কিডস্ এন্টারটেইনমেন্ট জোন।
আজ অবিন্তা ফাউন্ডেশন স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বিশেষ আনন্দ আয়োজন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেন ও জোনে।
“প্লেইয়ার্ড” কর্তৃপক্ষ জানায় তারা তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী বিনামূল্যে বিশেষ আনন্দ আয়োজন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য তিনদিনের এ ধরনের আনন্দ আয়োজন কর্মসূচির আজই ছিলো শেষ দিন।
এ সময় প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্লেইয়ার্ড উন্মুক্ত রাখা হয়।
জানা যায়, গত ২৬ -২৭ মে দুইদিন আনন্দ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে ‘মজার স্কুল’ ও আইএইচএফ পাঁচখোলা স্কুল।
আজ শেষদিন অংশগ্রহণ করেন অবিন্তা ফাউন্ডেশন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ ২৮ মে আয়োজনের শেষ দিনে অবিন্তা ফাউন্ডেশন স্কুলের ২৫ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষিকা “প্লেইয়ার্ড” কিডস্ এন্টারটেইনমেন্ট জোনে অংশ নেয়। বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুন্দর ও মনরোম পরিবেশে স্থাপিত হয়েছে কিডস্ জোন প্লেইয়ার্ড। এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক মানের ১৬টি রাইডার।
বাম্পার কার, ট্রাম্পোলিন, স্লাইম জোন, বাস্কেটবল, রেসিং সিমুলেটর, তীরন্দাজসহ বিভিন্ন রাইডে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাস আর আনন্দের ঝিলিক।
শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার রূপা,মেহজাবিন,নুরী জানায়, “আমরা অনেকগুলো রাইডে গিয়েছি”এর মধ্যে বাম্পার কার চড়ে আমাদের সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
সঙ্গে থাকা শিক্ষিকা – ফারিহা ইসলাম বলেন, “পরীক্ষার পর এমন আয়োজন শিশুরা দারুণ উপভোগ করছে” সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশে তারা খেলছে, শিখছে এবং মজা করছে। এমন জায়গায় শিশুদের নিয়ে আসা প্রত্যেক অভিভাবক ও শিক্ষকের উচিত।
প্লেইয়ার্ডে রয়েছে আধুনিক নানা ধরনের খেলাধুলা ও অ্যাডভেঞ্চার রাইড। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— ট্রাম্পোলিন, স্লাইম জোন, কিডস ক্যাসেল, শুটিং ও রেসিং সিমুলেটর, বক্সিং আর্কেড, তীরন্দাজ, ফুটবল, বাস্কেটবল, বাম্পার কার ও বলিং বুল।
এ সময় প্লেইয়ার্ড এন্টারটেইনমেন্ট জোন এর এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আজাদ বলেন,আমরা “প্লেয়ার্ড এন্টারটেইনমেন্ট জোন” তৈরি করেছি ইউনাইটিড গ্রুপের অধীনে। এটি বানানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল — উত্তরা ও আশপাশের এলাকার মানুষ যেন ছুটির দিনে বা অবসরে একটি ভালো বিনোদনের জায়গা পায়, যেখানে তারা আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
তিনি বলেন, উত্তরা ও এর আশপাশে ভালো কোনো কিডস্ জোন বা এন্টারটেইনমেন্ট স্পট ছিল না, তাই আমরা চেষ্টা করেছি একটি মানসম্মত, উপভোগ্য জায়গা তৈরি করার।
তিনি বলেন, আমরা ৩১ মার্চ ফ্লেইয়ার্ড জোন চালু করি এবং ঈদের দিন থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হয়।
শুরু থেকেই কাস্টমারদের রিভিউ ভালো, তারা সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
এখানে ক্যাফে সুবিধা রয়েছে, পাশাপাশি আমাদের একটি বড় বাম্পার কার জোন আছে, যা ঢাকার ভিতরে খুব কম জায়গাতেই দেখা যায়। আমাদের মোট জায়গার পরিমাণ প্রায় ১৯ থেকে ২০ হাজার স্কয়ার ফিট।