বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করছে সরকার বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা বলেছেন: আইন উপদেষ্টা নিজস্ব প্রতিশেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ প্রশাসনে রদবদল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা সাগরে লঘুচাপ, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভারি বৃষ্টির আভাস গণতন্ত্রের সৌন্দর্য রক্ষা করতে চাই – আমিনুল হক আওয়ামী লীগ সচল নাকি নিষিদ্ধ থাকবে, সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: রিজভী শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রত্যাহার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু

বাজেটে আওয়ামী লীগের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারেনি সরকার: আমীর খসরু

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ জুন, ২০২৫
  • ২৯ বার পঠিত

সিটিজেন প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগের সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারেনি।

সোমবার (২ জুন) বনানীর একটি হোটেলে বাজেট প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটা যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট, তাই আমার প্রত্যাশা খুব সীমিত। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের একটা সীমাবদ্ধতা আছে, সময়ের ব্যাপার।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বাজেটের আকার, যেটা বিগত সরকার বাড়াতে বাড়াতে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত, আপনি যখন রাজস্ব আয়ের পুরোটা পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে ব্যয় করে ফেলবেন, তখন তার অর্থ দাঁড়ায় উন্নয়ন বাজেটের পুরোটা দেশের বাইরে থেকে ধার করে চালাচ্ছেন। সরকার যখন দেশের বাইরে থেকে ঋণ নেয়, তখন দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে, মানুষকে সেটা দিতে হয়। এটার সুদ বেড়ে যাওয়ার কারণে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। আর দেশের ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে বিনিয়োগ কমে যায়। তখন কর্মসংস্থান কমে যায়।

রাজস্ব আয়ের সঙ্গে বাজেটের আকারের একটা সম্পৃক্ততা থাকা উচিত ছিল উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, আমি মনে করি সেটা হয়নি। রাজস্ব আয় যেটা হবে তা পুরোটা পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে চলে যাবে। ফলে, উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের জন্য পুরোটা দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ঋণ নিতে হবে। এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগে যে বাজেট হয়েছে, সেখান থেকে এবার টাকার অঙ্কটা ছোট হয়েছে। কিন্তু মৌলিক পরিবর্তন আগের জায়গায় রয়ে গেছে। অনেকটা আগের সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারেনি। আসলে রাজস্ব আয়কে ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত। তাহলে প্রাইভেট সেক্টরে টাকার সরবরাহ থাকত। বিনিয়োগ থাকত। সুদের হার কমে আসত। বিদেশি ঋণ কমে আসত। কিন্তু সেই জায়গা থেকে আমরা সরে আসতে পারিনি। সুতরাং আমি মনে করি মৌলিক জায়গার ভুলটা রয়ে গেছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের বিদেশি ঋণ ৩.৮ বিলিয়নের মতো। সেটাকে এবং রাজস্ব আয়কে মাথায় রাখতে হবে। বাজেটের আকার আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল। গুণগত দিক থেকে এই বাজেটে তেমন পরিবর্তন হয়নি। শুধুমাত্র সংখ্যা সামান্য ছোট হয়েছে। মৌলিক কাঠামো আগের সরকারের মতো রয়ে গেছে। এটা আগামী দিনের সরকারের জন্য সহজ কিছু হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com