হাফসা আক্তার :আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনের সামনে বিগত দিনে চাকুরিচ্যুত অস্থায়ী কর্মচারীরা চাকুরিতে পুনর্বহাল দাবি করে সম্মিলিত হয়।
তাদের উক্ত কর্মকান্ডের বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিম্নরূপ-
বিগত সময়ে বিমানের ট্রাফিক বিভাগ, নিরাপত্তা বিভাগ ও কার্গো বিভাগসহ বিভিন্ন অপারেশনাল ইউনিটে কর্মে নিয়োজিত কিছু অস্থায়ী কর্মচারীগণের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, মালামাল চুরি, বিনা অজুহাতে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতি, ফৌজদারী মামলায় শাস্তি প্রাপ্তি, চোরাচালানের সাথে সংযুক্ততা- ইত্যাদি অভিযোগ পাওয়া যায়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংস্থার সুনাম রক্ষার স্বার্থে বিধি অনুসারে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অস্থায়ী চাকুরী হতে ডিসকন্টিনিউ করা হয়েছিল।
অদ্য যেসকল কর্মচারী চাকুরীতে পুনর্বহাল হওয়ার দাবি নিয়ে বলাকার সামনে অবস্থান করেছিলেন তাদের অধিকাংশই এয়ারপোর্টে যাত্রী হয়রানি, কার্গোর মালামাল চুরি অথবা দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতি অথবা মানব পাচারকারী অথবা স্বর্ণ চোরাচালানের ফৌজদার অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার কারনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিধি অনুসারে তাদের অস্থায়ী চাকুরী হতে ডিসকন্টিনিউ হয়েছেন।
বিমান কর্তৃপক্ষ বিগত সময়ে বৈষম্যের শিকার কর্মচারীদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। উক্ত কমিটির নিকটে আলোচ্য চাকুরীচ্যুত ব্যক্তিদের দরখাস্ত পর্যালোচনা করার জন্য দাখিল করা হয়েছে। উক্ত কমিটি ইতোপূর্বে বেশকিছু আবেদন নিষ্পত্তি করেছে এবং যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট আবেদনসমূহ বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তি করবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রী হয়রানি, কার্গোর মালামাল চুরি, মানব পাচার এবং চোরাচালানোর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। বিমান কর্তৃপক্ষ আশা করে আলোচ্য চাকরিচ্যুত কর্মচারীগণ বিমানের উপর্যুক্ত নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তাদের দাখিলকৃত দরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করবেন।
বলাকা ভবনসহ বিমানের যেকোনো স্থাপনা ও এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কোন প্রকার বাধা-বিঘ্ন প্রদান না করার জন্য আলোচ্য কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ করা যাচ্ছে, যার ব্যত্যয় ঘটলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।