সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

পুরো বিশ্বের সঙ্গে জড়িত চীনের ভবিষ্যৎ: রাষ্ট্রদূত

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ২২৪ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীনের ভবিষ্যৎ এবং ভাগ্য পুরো বিশ্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। চীন যেকোনো প্রকার আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে বিরোধিতা করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে দেশটির প্রতিষ্ঠার ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক গভীর ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রেসিডেন্টের শক্তিশালী নেতৃত্বে উভয় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, শক্তিশালী বা দুর্বল, ধনী বা গরিব, বড় বা ছোট সব দেশ সমান এবং তাদের মধ্যে মতপার্থক্য ও বিরোধগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

তিনি বলেন, ৭০ বছর আগে চেয়ারম্যান (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) মাও সেতুং তিয়েনআমেন স্কয়ারে দাঁড়িয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছিলেন-‘গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই থেকে চীনা জনগণ উঠে দাঁড়িয়েছে। তার আহ্বানে চীনা জাতি নিজ দেশ ও ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়তে শুরু করে। সেই দিন থেকে চীনারা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, সময়কে নেতৃত্ব দেয়ার লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা শুরু করে। ৭০ বছর ধরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শক্ত নেতৃত্ব ও লক্ষ্যে ঐক্যক্যবদ্ধ হয়ে সকল জাতিগোষ্ঠী চীনা জনগণ উঠে দাঁড়াতে শুরু করে, ধনী হয়ে ওঠে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠে।

চীন উন্নয়নের জন্য একটি পথ সৃষ্টি করেছে এবং এটি নিজস্ব জাতীয় অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উল্লেখ করে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনা বৈশিষ্ট্য হলো সমাজতন্ত্রের পথ, যার সারমর্মটি হলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বকে সমর্থন করা এবং উন্নতি করা। এটি ইতিহাস এবং জনগণের সঙ্গে সময়ের একটি সেতুবন্ধন যা সকলেই পছন্দ করেছে।

চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ৭০ বছর পরে চীন অবিস্মরণীয় পরিবর্তন করেছে, বিশ্ব-স্বীকৃত অর্জন অর্জন করেছে। আমাদের বিস্তৃত জাতীয় শক্তিতে ঐতিহাসিক অগ্রগতি করেছে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান, খাদ্য ও পরিধানের জন্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। চীনের মাথাপিছু জাতীয় আয় এই বছরের শেষের দিকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আরও বেশি পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

‘৭০ বছরে চীন সর্বদা তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা এবং উন্নয়নের স্বার্থকে রক্ষা করেছে এবং সব ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। চীন সরকারের জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের অখণ্ডতা রক্ষার আত্মবিশ্বাস এবং ক্ষমতা রয়েছে’, বলেন লি জিমিং।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com