নিজস্ব প্রতিবেদক: বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তার রুমমেট মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রয়োজনে মিজানের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে আদালতকে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডিবি পুলিশ মিজানকে গ্রেফতার করে। মিজান ওয়াটার রিসোর্স অ্যান্ড প্ল্যানিং বিভাগের ছাত্র।
এছাড়াও শুক্রবার বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। আবেদনের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত মঙ্গলবার জিওনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী। রিমান্ড চলাকালে তাকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হয়।
অপরদিকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা ও বুয়েটের শিক্ষার্থী হোসেন মোহাম্মদ তোহার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত।
আবরার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১১ জন রিমান্ডে রয়েছেন। তারা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, ছাত্রলীগ কর্মী মুনতামির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মোজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাছান রবিন, শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মনিরুজ্জামান মনির ও মো. আকাশ।