বিনোদন প্রতিবেদক: একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা ঘটেই চলেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে। বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে কিছু ‘মন্দ’ ঘটনা ঘটেছে যা চলচ্চিত্র শিল্পী তথা সার্বিক চলচ্চিত্রের ইমেজকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
সর্বশেষ শিল্পী সমিতির ভেতরে খল অভিনেতা ড্যানিরাজের হাতে অপমানিত হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ও সভাপতি পদপ্রার্থী মৌসুমী। এ নিয়ে চলচ্চিত্রপাড়ায় ছি ছি পড়ে গেছে। এর ফলে বাধ্য হয়ে কঠোর অবস্থান নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিল্পী সমিতির ভেতরে শিল্পীদের আনাগোনা নিষেধ।
তিনি বলেন, ‘একটা নির্বাচনকে ঘিরে শিল্পীদের দুর্নাম হবে এটা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না। কিন্তু সেটাই হচ্ছে। মৌসুমীর সঙ্গে ড্যানিরাজ বাজে আচরণ করেছেন। আমি এটা মানবো না কিছুতেই। এখানে চলচ্চিত্রের শিল্পী সমাজের ইমেজ জড়িত। তাই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমাকে কঠোর হতেই হলো।
আমি ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি যে নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সমিতির ভেতর আড্ডাবাজি, চা খাওয়া বা ভোটের প্রচারণা করা যাবে না। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সমিতির কমিশনারদের কার্যালয়। এখানে প্রার্থী-সমর্থকদের কোনো রকম হট্টগোল হওয়া যাবে না। কেউ নিয়ম ভাঙলে আমি ব্যবস্থা নেবো।’
গেল সোমবার রাতে মৌসুমীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ড্যানিরাজ। এসময় তিনি মৌসুমীকে ধাক্কা মারেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে ড্যানিরাজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এবার সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী।
গত ৫ অক্টোবর ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহসভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তাঁরা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।