অনলাইন ডেস্ক: আজ নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার, ৪৮তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস’। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’।
আজ দেশব্যাপী গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপন করা হচ্ছে দিবসটি। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
জাতীয় সমবায় দিবস বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত একটি জাতীয় দিবস। সমবায় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং সমবায় আন্দোলনে গতিশীলতা আনয়নের জন্য প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার দিবসটি দেশব্যাপী উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আজ দুপুর ১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করবে। এরপর বেলা ৩টায় জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সেখানে বিকেল ৪টায় ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০১৯ ও জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৮ প্রদান এবং আলোচনা সভা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্য।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে আয়-বৈষম্য হ্রাস করে ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সমবায় পদ্ধতি পারস্পরিক সহযোগিতা, সমবেত প্রচেষ্টা, মূল্যবোধের চর্চা এবং সম্মিলিতভাবে টিকে থাকার নীতিতে বিশ্বাস করে।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে সমবায় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, সক্রিয় এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে আরও তৎপর হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, এ দেশের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে সমবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকারের ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ স্লোগান বাস্তবায়নেও সমবায়কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, পল্লী অঞ্চলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের মাধ্যমে পল্লীর মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপযুক্ত প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।