অনলাইন ডেস্ক: সৌদি আরবে ব্যাপক ধড়পাকড়ের মুখে প্রায় প্রতিদিনই দেশে ফিরছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। তারা বলছেন, বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও জোর করে তাদের ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
তবে বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, এখন সৌদি আরবে কাজ করার জন্য কেবল ইকামা বা বসবাসের পরিচিতি থাকাটাই যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে নির্দিষ্ট জায়গায় কাজও করতে হবে।
নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে সৌদি আরব থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো নিয়ে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এই গণবিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, ‘প্রবাসী বাংলাদেশি অনেক কর্মীই স্পন্সরের কাছ থেকে ইকামা (রেসিডেন্ট আইডি) নিয়ে তথাকথিত সৌদি থেকে বাংলাদেশি কর্মী ফেরত পাঠানো নিয়ে যা বলছে দূতাবাস ‘ফ্রি ভিসায়’ বাইরে কাজ করে অথবা ব্যবসা করে এবং তারা মনে করে ইকামা থাকাই তাদের বৈধতার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু কোনো কর্মীর কাছে শুধু ইকামা থাকাই তার বৈধতার প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট নয়।’
এতে আরো বলা হয়, ‘বৈধ ও ভ্যালিড ইকামা নিয়ে যদি কেউ স্পন্সরের বাইরে কাজ করে, স্পন্সরের কাজ হতে পালিয়ে যায় কিংবা ইকামা, বর্ডার ও শ্রম আইনের কোনো ধারা ভঙ্গ করে তাহলে তাকে আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করে সৌদি সরকারের অর্থায়নে ডিপোর্টেশন সেন্টারের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারে।’
তাছাড়া সৌদি সরকার কিছু পেশা ও সেক্টরে অন্য দেশের নাগরিকদের কাজ করা নিষিদ্ধ করায়ও অনেকে অবৈধ হয়ে পড়ছেন বলে উল্লেখ করেছে দূতাবাস।
‘ওই সকল পেশায় যদি কোনো প্রবাসী নিযুক্ত থাকেন, তিনি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং এরকম অবৈধ প্রবাসীদেরও কর্তৃপক্ষ আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়,’ বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
দূতাবাস জানায়, ২০১৭ সালের নভেম্বরে সৌদি আরবে প্রবাসী কর্মীদের ‘সাধারণ ক্ষমার’ সুযোগ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম জোরদার হয়েছে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, নিয়মভঙ্গের অভিযোগ এনে কেবল চলতি বছরই ২১ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। এ বছরের প্রথম ১০ মাসে দেশটিতে গৃহকর্মী হিসেবে যাওয়া নারীদের ৯৬০ জন দেশে ফিরেছেন। যাদের বেশিরভাগই নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে অন্তত ৪৮ জন নারীর মৃতদেহও এসেছে সৌদি থেকে।