জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: অনলাইনের মাধ্যমে আজ ৫ নভেম্বর থেকে প্রবাসীদের ভোটার করার কাজ শুরু হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবন থেকে দুপুর ২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। একই সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়াতে বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রথমে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদেরও অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার করার কাজ শুরু হবে।
ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ও এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) আবদুল বাতেন বলেন, আমরা অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার করার পদক্ষেপ নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাস ইসিকে সহযোগিতা করবে। মালয়েশিয়া ছাড়াও যুক্তরাজ্য, দুবাই ও সৌদি আরবের প্রবাসীরা এ সুযোগ পাবেন। পর্যায়ক্রম অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও এ সুযোগ পাবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য শুরুতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ইসি থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ আবেদন করতে হবে। আবেদন বৈধ বিবেচিত হওয়ার পর ইসির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে আবেদনকারীদের ভোটার করে নেবেন।
প্রবাসীরা ইসির ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পর আবেদনগুলো সঠিক কিনা ইসি তা কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই করবে। যাচাই-বাছাই শেষে ইসির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে যোগ্য ও সঠিক আবেদনকারীদের ছবি তোলাসহ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের মনির ছাপ (আইরিশ) গ্রহণ করবেন।
জানা গেছে, এ জন্য ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিদেশে বসবাসকারীরা সেই দেশে ইসির স্থাপিত নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে কিংবা অনলাইনে ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সর্বশেষ যে এলাকায় বসবাস করেছেন বা নিজের অথবা বাবার বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
পরবর্তীতে সেই এলাকার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের পর ১০ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও ভোটারের ছবি তুলে এনআইডি সরবরাহ করা হবে। এর আগের রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে ও ইসির ওয়েবসাইটে দাবি-আপত্তির জন্য তালিকা দেয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা যাবে।