জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দীন খান বাদলের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজার পর তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আজ শনিবার সকালে সংসদ ভবনের ট্যানেলে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজায় সংসদ সদস্যরা ছাড়াও সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আশপাশের এলাকাবাসী অংশ নেন।
জানাজা শেষে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে গার্ড অব অর্নার দেয়া হয়। এরপর রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মরহুমের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার সেখানে উপস্থিত থেকে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষ থেকে ফখরুল ইমাম এমপি, ১৪ দলের পক্ষ থেকে মুখ্য সমন্বয়ক মো. নাসিমের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ মঈন উদ্দীন খান বাদলে কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
মরহুমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং পরিবারের পক্ষ থেকে বাদলের ছেলে তাইমুর নূর।
এর আগে জানাজায় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই- আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, মো. নাসিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ বন ও জলবায়ুমন্ত্রী মো. শাহাবুদ্দিন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, এ বি তাজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নজরুল ইসলাম বাবু, শফিকুল ইসলাম শিমুল ও শিরীন আখতার এমপি এবং দলীয় নেতৃবৃন্দ।
পরে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি…..রাজিউন)। গতকাল শুক্রবার ভারত থেকে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।
মঈন উদ্দীন খান বাদল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে তিনি শত্রু বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কার্যকরী সভাপতি ও তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলেন।