অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। নারী, পুরুষ এমনকি শিশুরাও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। ক্যান্সারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মনে করা হয় ডায়াবেটিসকে।
যদিও সরাসরি ক্ষতি করে না কিন্তু পরোক্ষভাবে শরীরের ক্ষতি করে ডায়াবেটিস। একটু একটু করে ধ্বংস ডেকে আনে। বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে চীন এবং দ্বিতীয় ভারত।
সচেতনতার অভাবে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন যে ভারতকে ডায়াবেটিসের রাজধানী বলছেন চিকিৎসকরা।
১০০ জন ডায়াবেটিস আক্রান্তের মধ্যে ৫০ জন সচেতন। বাকি ৫০ জন ডায়াবেটিস কী সেটাই জানেন না। চিকিৎসা চলছে মাত্র ২০ শতাংশের আর বাকি ৩০ শতাংশ জেনেও চিকিৎসার ব্যাপারে উদাসীন। গ্রাম, শহর সর্বত্রই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
একবার শরীরে বাসা বাঁধলে ডায়াবেটিস সারে না। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রি ডায়াবেটিস স্টেজেই সতর্ক হওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা সচেতনতা। আরও বড় সমস্যা জীবনযাত্রার। চিকিৎসকরা বলছেন নিজেকে সময় দিতে। কাজের ফাঁকেই ব্যায়াম, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা এবং প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
নিয়ম মেনে চললে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরাও। ২০১৭ সালের একটি হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি। বিশ্বের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ হাজার ১৪২ জন বা পাঁচ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।