অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর)। শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। ক্যাসিনোকাণ্ড আর বয়সের কারণে অনেকেই এখন মাঠে নেই।
প্রথম সেশনে উপস্থিত থেকে কংগ্রেস উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এ অনুষ্ঠান। পদ্মা সেতুর আদলে গড়ে তোলা হয়েছে উদ্বোধনী মঞ্চ।
দ্বিতীয় সেশনে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
যুবলীগের সাবেক নেতাদের চাওয়া- তরুণ, যুববান্ধব ও সৎ নেতৃত্ব। বর্তমান নেতারা চান ছাত্র ও যুব রাজনীতির অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ কর্মীবান্ধব, গতিশীল ও সহজপ্রাপ্য কাউকে।
ইতোমধ্যে কাউন্সিলর-ডেলিগেটরা ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। সম্মেলনে কাউন্সিলর-ডেলিগেটদের এবং আমন্ত্রিত অতিথি মিলে প্রায় ৩০ হাজার লোকের সমাগম হবে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।
এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুবলীগের সম্মেলন। ক্যাসিনো, মাদক, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ নানা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের অনেকে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে। সংগঠনটির চেয়ারম্যানকেও এসব অনৈতিক কাজে সমর্থনের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংগঠনে থাকলেও নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য হয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও শেখ আতিয়ার রহমান দিপুসহ অনেকে। তারা কেউই এবার সম্মেলনে থাকতে পারছেন না।
এ পরিস্থিতিতে যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস সামনে রেখে গত ২০ অক্টোবর যুবলীগের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাতের আগে ওই প্রতিনিধি দলে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও শেখ আতিয়ার রহমান দিপুকে না রাখার জন্য গণভবন থেকে আগেই নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে বিতর্কিত অন্যদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও ওমর ফারুককে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।