নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশব্যাপী কর্মবিরতি শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। আজ বুধবার সকাল থেকে ১৫ দফা দাবিতে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এদিকে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে সকালে ঢাকা থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
শতভাগ খাদ্যভাতা ও সুপেয় পানির খরচ আদায়সহ ১৫ দফা দাবিতে ২৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে টানা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন নৌযান শ্রমিকরা। গত ২০ নভেম্বর (বুধবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানববন্ধন থেকে শ্রমিকরা নৌ শ্রমিকদের খোরাকি ভাতা চালু, জ্বালানি তেল সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ডিজি শিপিংয়ের হয়রানি বন্ধ, সুনামগঞ্জের ছাতকের ভুয়া ইজারা বাতিল এবং নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবি জানান।
ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১৫ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক স্বার্থরক্ষা ঐক্য পরিষদ সকাল থেকে ধর্মঘট ডেকেছেন। তাদের প্রধান দাবি, বেতন বৃদ্ধি করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চাঁদা বাজি বন্ধ করা।
নৌযান শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ মো. ওমর ফারুক সিটিজেন নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ কার্গো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ বাল্কহেড, ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন মিলে ঐক্য পরিষদ গঠন করা হয়েছে। ১৫ দফা দাবি আদায়ে আমরা গত এক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু সরকার সেই বিষয়ে কোন কর্ণপাত করছে না। আমরা গত রাত ১২টার পর থেকে সারাদেশে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি। গত ২৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ে আজ বিকেল ৫টায় সভা ডাকা হয়েছে। দাবি পূরণের আশ্বাস পেলে আমরা ধর্মঘট স্থগিত করব।’