নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের যেকোনো জায়গায় ব্রোকারেজ হাউসের এক্সটেশন অফিস বা সার্ভিস বুথ বসানো যাবে। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউসগুলো প্রধান কার্যালয় থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে সার্ভিস বুথ বা বর্ধিত অফিস করতে পারে।
গত এপ্রিলে বিএসইসির কাছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পক্ষ থেকে এই নিয়ম শিথিল করে ঢাকা মেট্রোপলিটন অঞ্চলে সার্ভিস বুথ খোলার দাবি জানানো হয়।
এদিকে, সম্প্রতি ডিএসইর প্রধান অফিস নিকুঞ্জের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর হয়েছে। এতে ওই ভবনে অনেক ব্রোকারেজ হাউস চলে যাবে। এতে সার্ভিস বুথ অফিসগুলো ওই ভবন থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে করতে হবে। এতে এক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে। কারণ বর্তমানে বেশিরভাগ ব্রোকারেজ হাউসের সার্ভিস বুথ মতিঝিল অঞ্চলে রয়েছে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ডিএসই ও ডিবিএর দাবির প্রেক্ষিতে ব্রোকারেজ হাউসের সার্ভিস বুথ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে খোলার সুযোগ দিয়েছে বিএসইসি। ফলে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের যেকোনো স্থানে সার্ভিস বুথ খুলতে পারবে ব্রোকারেজ হাউসগুলো।
দীর্ঘ দিনের ঠিকানা মতিঝিল ছেড়ে গত ৩ নভেম্বর রাজধানীর নিকুঞ্জের নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএসই। তবে এখনও ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি। তাই ডিএসইর কয়েকটি বিভাগের কাজ মতিঝিল অফিস থেকে হচ্ছে। এর মধ্যে ট্রেনিং ও প্রকাশনা বিভাগ এবং আইটি বিভাগ রয়েছে। আইটি বিভাগ এক বছরের মতো মতিঝিলে থাকবে। এই বিভাগগুলো ছাড়া বাকিরা নিকুঞ্জের নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালে চার কোটি টাকায় রাজধানীর খিলক্ষেত-নিকুঞ্জ এলাকায় (বিমানবন্দর সড়কের পাশে) চার বিঘা জমি বরাদ্দ পায় ডিএসই। এই জমির ওপরেই ডিএসইর নিজস্ব ১৩ তলা ভবন তৈরি করা হয়েছে।
ডিএসইর ২০১১-১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুতল ভবনটির সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১৩২ কোটি টাকার বেশি। নকশা অনুযায়ী ভবনের আয়তন ৭ লাখ ৪১ হাজার ১০৯ বর্গফুট। ভূগর্ভস্থ তিনতলা কার পার্কিংয়ের স্থান বাদে মূল ভবন ১৩ তলা।
এর প্রথম দুই তলায় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সাব-স্টেশন, লবি, মিডিয়া সেন্টারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থাকার কথা রয়েছে। চতুর্থ তলা ডিএসইর অফিসের জন্য বরাদ্দ রাখা। পঞ্চম তলা থেকে ১১ তলায় ব্রোকারেজ হাউস ও শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থাকবে। অডিটরিয়ামের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ তলার কিছু অংশ ও ১৩ তলা।
২০০৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ। ওই বছর ২৮ মার্চ ডিএসইর তৎকালীন সভাপতি শাকিল রিজভী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।