আদালত প্রতিবেদক:বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, কর্তব্য কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা এবং নাশকতার অভিযোগে শহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চার নেতাকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মির্জা ফখরুল ছাড়া অন্যান্য নেতারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে ৮ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে (নিম্ন আদালত) আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন আদালত।
জামিনের বিষয়টি সিটিজেন নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, কামরুল ইসলাম সজল, রাগীফ রউফ চৌধুরী, সালমা সুলতানা সোমা, মির্জা আল মাহমুদ, একেএম এহসানুর রহমান, এম আতিকুর রহমান, গোলাম আক্তার জাকির ও রোকন উজ্জামান প্রমুখ।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ ও শহীন মৃধা।
এর আগে দুপুরে তারা হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। এরপর পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর ইট পাটাকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ধাওয়ায় নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ঘটনার পর ওই দিনই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে বিএনপির মোট ৫শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেফতার করা হয়।