জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সব প্রতিবন্ধকতার উত্তরণ ঘটিয়ে প্রতিবন্ধীরা বাঁধা বিপত্তিকে জয় করে স্বাভাবিক কাজকর্মসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় অনন্য ভূমিকা রাখছে যা দেশের সর্বস্তরের জনগণের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণযোগ্য।
প্রতিযোগিতাপূর্ণ এমন টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার বলেন, এমন সৃজনশীল আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সাভারে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি), সিআরপি ও বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ)উদ্যোগে আয়োজিত ‘হুইল চেয়ার বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট ২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজে সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে। প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় সমাজের সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তাদের এগিয়ে নিতে যথোপযুক্ত পুনর্বাসন প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের এ যুগে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা অর্জন করে এক স্থানে বসেই উপার্জনের ব্যবস্থা করা সম্ভব। তাই প্রতিবন্ধীদের চলার পথে সব বাঁধা দূর করে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে তাদের স্পম্পৃক্ত করতে এবং যাবতীয় সুবিধাদি আরও উন্মুক্ত করতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের সব পর্যায়ের কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। খেলাধুলাসহ জীবনযাপনের সব ক্ষেত্রে তাদের সব রকম সহযোগিতা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য, ‘হুইল চেয়ার বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট ২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘সিআরপি-অপরাজেয় অনন্যা’ ও ‘সিআরপি-অপরাজিতা’ নামক দুই দল অংশগ্রহণ করে। খেলায় ৬ স্কোরের ব্যবধানে ‘সিআরপি-অপরাজিতা’ বিজয় লাভ করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিআরসির হেড অব ডেলিগেশন পিয়েরেডর্স। অনুষ্ঠানে সিআরপির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। স্পিকার খেলা উপভোগ ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।