বিশেষ প্রতিবেদক: ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় ৭৬তম বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসক্যাপ)।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ও এসক্যাপের নির্বাহী কর্মকর্তা আর্মিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানা বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসক্যাপের বার্ষিক অধিবেশন সাধারণত মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে সালসিয়াহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন এবং উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশের কোন খাতে তারা সহায়তা করতে পারেন জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আরও উন্নয়নে সহায়তা কামনা করেন।
তার সরকারের গৃহীত ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত সকল উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রামকেন্দ্রিক। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায়ও বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এসক্যাপের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ও স্থলবন্দর নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে ইন্টারমোডাল রিজিওনাল নেটওয়ার্ক সমর্থন করে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এটি বিদ্যমান অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা জোরদার করবে এবং বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়াবে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল (বিবিআইএন) উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার (বিসিআইএন) উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংগঠনগুলোর সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগ বাড়লে এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যও বাড়বে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী নয়, অথচ এ দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব মোকাবিলায় আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন বন্ধুরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপো উপস্থিত ছিলেন।