নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন। এ জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতির ওপর তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে সক্ষম হবেন। বর্তমানে শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়ে থাকে।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হলে শিক্ষকরা নিজ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে পারবেন। শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের শিক্ষকদেরও এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। একই সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে শিক্ষকদের সক্ষম করে তোলা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেন্টররা (সরকারি কর্মকর্তারা) এ প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবেন।
সভা সূত্রে আরও জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সকল বিদ্যালয়ে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচি বাস্তাবয়নে শ্রেণিভিত্তিক সাবলীল ও দুর্বল শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে তার অগ্রগতি জানাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক দক্ষতার অভাব রয়েছে। শিক্ষকদের স্বল্প মেয়াদে যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদের শতভাগ দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে তোলা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের দক্ষ করে তুলতে তাদের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তার সঙ্গে নিজ নিজ শিক্ষকদের দ্বারা তাদের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হবে। সে জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
বদরুল হাসান বাবুল আরও বলেন, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় আনতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদা করে তাদের বিশেষ যত্ন নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ যত্নের মাধ্যমে তাদের দুর্বলতা কাটবে। এসব কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত মেন্টরদের নজরদারি করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।