আদালত প্রতিবেদক: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ভুক্তভোগী (ভিকটিম) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী।
গতকাল ১০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।
এদিন দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক ভিকটিমকে আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার সিরিয়াল রেপিস্ট মজনুকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত এ অনুমতি দেন।
এদিন দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা নামার পর তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওই ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই স্বীকার করেন তিনি একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।
গ্রেফতার মজনুকে নিয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, মজনু মাদকাসক্ত। তার বাড়ি হাতিয়ায়। তিনি এর আগেও ওই একই এলাকায় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যেদিন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সেদিনের ঘটনায় র্যাব জানায়, সেদিন মজনু অসুস্থতার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে দেখেন ও তাকে ধর্ষণের টার্গেট করেন।
কয়েক বছর আগে মজনু বিয়ে করেছিলেন, তার স্ত্রী মারা গেছেন। পেশায় হকার মজনু চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।