আদালত প্রতিবেদক: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পাওনা টাকা মওকুফের বিনিময়ে মেয়েকে (১৩) ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেফতার বাবা লিটনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এ দিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে কামরাঙ্গীরচরের বেটরিয়া ঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বিদেশে থাকেন। বাবা লিটন স্থানীয় মুরগি ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে মুরগি সরবরাহ করতেন। ব্যবসা সূত্রে বছরখানেক আগে আবুলের কাছ থেকে টাকা ধার করেন লিটন। সময়মতো ধার শোধ না করায় লিটনের কিশোরী মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দেন আবুল। এতে লিটন রাজি হয়ে যান। শারীরিক সম্পর্ক করতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটির বাবা তাকে মারধর করতেন। মেয়কে বন্দি রেখে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে বাধ্য করতে বাবা লিটন।
পরবর্তীতে প্রতিবেশী এক নারীর কাছে বিষয়টি খুলে বলেন ওই কিশোরী। তিনি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন। পুলিশ ফোন পেয়ে কিশোরীকে রাতেই উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।