আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার পাম অয়েল আমদানি বন্ধে ভারতের নেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক কোনও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। ভারতীয় এই সিদ্ধান্তের জবাবে সোমবার মাহাথির মোহাম্মদ তার দেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
সম্প্রতি নয়াদিল্লির বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মন্তব্যের জেরে মালয়েশিয়ার সঙ্গে তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। এর জেরে দেশটি থেকে পাম অয়েল আমদানি বন্ধ করেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ভারত।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোজ্যতেলের উৎপাদনকারী দেশ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা খুবই ছোট দেশ। এ থেকে উত্তোরণের জন্য আমাদের বিকল্প উপায় এবং কৌশল খুঁজতে হবে।’
নয়াদিল্লির ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা ও বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ আনেন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ার ৯৪ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রী। সোমবার
আবারও ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমালোচনা করে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, এই আইন চূড়ান্ত অন্যায়।
গত পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের সর্ববৃহৎ ক্রেতা ভারত আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর নতুন ক্রেতা খুঁজে পেতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি প্রায় ১০ শতাংশ কম হয়েছে; যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এছাড়াও ভারতের বিতর্কিত ইসলাম প্রচারক জাকির নায়েকের স্থায়ী নাগরিকত্ব সুবিধা বাতিল না করায় মালয়েশিয়ার প্রতি নাখোশ নয়াদিল্লি। অর্থ পাচার ও ভারতে বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত জাকির নায়েক গত তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন।
মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, ভারত সরকার যদি জাকির নায়েকের ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দেয়, তারপরও তাকে ভারতে পাঠানো হবে না। কারণ নায়েক সেখানে বৈষম্যমূলক বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। নিরাপদ তৃতীয় কোনও দেশ যদি পাওয়া যায়, তাহলে জাকির নায়েককে সেখানে পাঠানো হবে।
মালয়েশিয়ার এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা যদি তার জন্য কোনও স্থান খুঁজে পাই, তাহলে তাকে সেখানে পাঠাবো।’
সূত্র : রয়টার্স, এনডিটিভি।