আদালত প্রতিবেদক: দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইন মেনে পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রি দিচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষক-গবেষকদের পিএইচডিতে জালিয়াতি বন্ধ করার জন্য গবেষণা প্রস্তাব চূড়ান্ত করার আগে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে তা যাচাই বা নীরিক্ষার পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রির ক্ষেত্রে নকল, জালিয়াতি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ নির্দেশ দিলেন আদালত।
শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ইউজিসি চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২১ জানুয়ারি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণায় জালিয়াতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জুনয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অভিযোগ ওঠা ওই ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর আবুল কালাম লুৎফুল কবীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
শিক্ষক আবুল কালাম লুৎফুর কবীরকে অব্যাহতির পাশাপাশি অভিযোগটি তদন্তে একটি কমিটিও করা হয়।
ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ৬০ দিনের দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মো. মনিরুজ্জামান লিঙ্কন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদালতে রিটের পক্ষে মো. মনিরুজ্জামান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।