অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ এশীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনী বিষয়ক ও চিত্রকলার সবচেয়ে বড় আয়োজন বলা হয় ‘ঢাকা আর্ট সামিট’কে। যেখানে অংশ নেন দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের পাশাপাশি উদীয়মান ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা। এক ছাদের নিচে বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা মেজাজ ও শিল্পের নানামাত্রার কাজ দেখার বিরল সুযোগ করে দিতে ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক এই সামিটের আয়োজন করে আসছে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন।
২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত চারবার সফলভাবে ঢাকা আর্ট সামিট আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে, এবার বসছে ৫ম সংস্করণ। শুক্রবার সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার মিলনায়তনে ৯ দিনের ঢাকা আর্ট সামিট (ডিএএস) এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ঢাকা আর্ট সামিটের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান এবং সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাদিয়া সামদানী।
মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সামিটের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের কো-ফাউন্ডার রাজীব সামদানী ও কো-ফাউন্ডার নাদিয়া সামদানী। এ সময় শিল্পকলা একাডেমির সচিব বদরুল আলম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সামিটের অন্যতম কিউরেটর চিত্রশিল্পী বিশ্বজিৎ গোস্বামী।
ঢাকা আর্ট সামিট ৫ম সংস্করণের প্রধান ভেন্যু এক লাখ ২০ হাজার বর্গফুট আয়তনের শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবন। সামিটের অংশ হিসেবে জাতীয় চিত্রশালা ভবন সংলগ্নে স্থাপন করা হয়েছে স্কাল্পচার গার্ডেন।
উদ্বোধনী দিন ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) প্রথম পারফর্ম্যান্স অনুষ্ঠিত হয় চিত্রশালার ৬ নং গ্যালারিতে। ওইদিন সকাল ১০টায় সামদানী আর্ট অ্যাওয়ার্ড পারফর্ম্যান্সে অংশ নেন বাংলাদেশী শিল্পী আরিফুল কবির। উদ্বোধনী দিনে সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় ‘টুগেটার (ঢাকা সংস্করণ)’ শিরোনামে পারফর্ম্যান্সে অংশ নেন করাকৃত অরুনাদ্ধচল এবং অ্যালেক্স ভোজিও।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সাজানো হয়েছে একটি বিশেষ প্রদর্শনী। একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার প্রথম তলায় ‘লাইটিং দি ফায়ার অব ফ্রিডম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (CRI) এবং সহায়তা প্রদান করছে । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। যেখানে থাকবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক আলোকচিত্রের বিশাল সংগ্রহ।
সামিটে অংশ নেবেন বাংলাদেশ ছাড়াও ৪৪টি দেশের ৫০০ এর অধিক চিত্রশিল্পী-ভাস্কর, কিউরেটর, শিল্প-সমালোচক, আর্ট প্রফেশনাল, শিল্প সংগ্রাহক, স্থপতি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
সামিটে অংশ নেয়া শিল্পী, সমালোচক ও আলোচকদের মধ্যে রয়েছেন- দিলারা বেগম জলি, রোকেয়া সুলতানা, সেলিমা কাদের চৌধুরী, লুইস হ্যান্ডারসন, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আরিফুল কবির, ইয়াসমিন জাহান নূপুর, হেক্টর জামোরাহ, সালেহ হাসান, রাফেল হেফটি, টনি কোকস, রশিদ চৌধুরী, শেনাই জাভেরি, থেরেসে চৌধুরী খান, মরগান কোয়ানট্যান্সে, আয়ো আকিনবেদ, রেহানা জামান, এসি এশুন, ড. অর্নব বিশ্বাস, সাজেদুল হক, অ্যানা পাই, আনিয়কায় ইগনে, ফায়হাম ইবনে শরীফ, আলফ্রেড সান্টানা, শীন অ্যান্ডারসন, ফারহান করিম, সাইম সুন, নূরুর রহমান খান, জয়দেব রওজা, অঞ্জলিকা সাগর, রানিয়া স্টেফেন, কৌদ ইশুন, মুস্তাফা জামান, স্নেহা রাগাভান, শায়লা শারমিন, মাহমুদুল হাসান দুলাল, ইফতিখার দাদি, সামিনা ইকবাল, মিং টিয়ামপো, রাফায়েল গ্রিসে, বোবা টোরে, লুটা-তা কাবা ইন্দ্রি, শিমুরেনজা, সালমান নাওয়াতি, কাদ্দু ইয়ার্যাক্স, হ্যাডিল অ্যাশলি, মোহাম্মদ হার্ব, এলিজাবেথ প্রভিনীল, জন টাইন, চৌং-ডাল বো, লোট্টে হিয়েক, এলিজাবেথ জর্জিস, সংযুক্ত স্যান্ডারসনসহ আরও অনেকে।
ঢাকা আর্ট সামিট একটি অ-লাভজনক পদক্ষেপ- যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিখ্যাত শিল্পী ও বহির্বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত গ্যালারিসমূহকে আমন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫ম বারের মতো একই ছাদের নিচে তাদের শিল্পকলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও শিল্পরসিকদের তা উপভোগ করার আরও একবার দুর্লভ সুযোগ এনে দিচ্ছে।
সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে প্রথম ঢাকা আর্ট সামিট আয়োজন করে ২০১২ সালে। যেখানে ২৪০ দেশি-বিদেশি শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের অনেক শিল্পী আন্তর্জাতিক জাদুঘরগুলোতে নজিরবিহীন প্রবেশাধিকার পান। ৩ দিনের প্রথম ঢাকা আর্ট সামিটে প্রায় ২০ হাজার দর্শনার্থীর পদচারণা মুখর ছিল, যা বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় শিল্পকলা অঙ্গনে নতুন ইতিহাস রচনা করে। দুই বছর পর পর এই সামিটের আয়োজন করা হয়। সর্বশেষ আয়োজন করা হয়েছিল ২০১৮ সালে একই ভেন্যুতে। ৯ দিনের (২ ফেব্রুয়ারি-১০ ফেব্রুয়ারি) ওই আর্ট সামিটে দর্শক এসেছিলেন গড়ে ৩৫ হাজার দর্শক অর্থাৎ ৩ লাখ ১৭ হাজার।
এবারও সামিট আয়োজনের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প চর্চার ওপর আন্তর্জাতিক বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন। এই অনন্য অ-বাণিজ্যিক সামিটে একসাথে ৫০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিভাবান দক্ষিণ এশিয়ার শিল্পী তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন করবেন। এরমধ্যে ৩০০ জনই হচ্ছেন বাংলাদেশের উদীয়মান ও প্রতিভাবান শিল্পী। আছেন প্রতিথযশা শিল্পীরাও।
সামিটে বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করছেন চিত্রশিল্পী বিশ্বজিৎ গোস্বামী। তার তত্ত্বাবধানে ‘রুটস’ বা ‘শেকড়’ শিরোনামে এক বিশেষ প্রদর্শনী রয়েছে এবারকার আয়োজনে। প্রতিথযশা শিল্পগুরু জয়নুল আবেদিন, এস এম সুলতান, কামরুল হাসানসহ বিশেষ করে দেশের চিত্রকলা শিক্ষাদানে অসামান্য অবদান রেখেছেন এমন শিল্পীদের জীবনকর্ম তুলে ধরা হবে ওই বিশেষ প্রদর্শনীতে।
ঢাকা আর্ট সামিটে অংশ নেবেন বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান, ফ্রান্স, ইতালি, ইরান, শ্রীলঙ্কা, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের অত্যন্ত সুপরিচিত শিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন আর্ট প্রজেক্ট। থাকছে দেশ-বিদেশে শিল্প-সমালোচক, শিল্প-সংগ্রাহকদের অংশগ্রহণে আছে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, একক ও দলবদ্ধ বক্তৃতা। থাকবে শিল্পকলা বিষয় প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীও।
সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ১২ জন বাছাইকৃত শিল্পীর সমন্বয়ে ‘সামদানী আর্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদর্শনীর আয়োজনও থাকছে এবারকার আয়োজনেও। যার অংশীদারিত্বে থাকবে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ডেলফিনা ফাউন্ডেশন। যারা দীর্ঘদিন ধরে শিল্প বিনিময়ের দিকে নজর রেখে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে মিডল ইস্ট, উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। এই দ্বিবার্ষিক সামদানী আর্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ২২ থেকে ৪০ বছর বয়সী উদীয়মান ও প্রতিভাবান শিল্পীদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানে সহায়তা করা। এবারকার অ্যাওয়ার্ডের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন- আরিফুল কবির, আশফিকা রহমান, ফাইহাম ইবনে শরীফ, হাবিবা নওরোজ,
নাজমুন নাহার কেয়া, পলাশ ভট্টাচার্যী, প্রমতি হোসেন, সোমা সুরভী জান্নাত, সৌনক দাস, সুমনা আক্তার, তাহিয়া ফারহিন হক ও জিহান করিম। ২০১৮ সালে এই অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী, ২০১৬ সালে রাসেল চৌধুরী, ২০১৪ সালে আয়েশা সুলতানা ও ২০১২ সালে খালেদ হাসান ও মুসারাত রিয়াজী। সামদানী আর্ট অ্যাওয়ার্ডের আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ড প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন ডেলফিনা ফাউন্ডেশনের পরিচালক এরন সেজার।
সামিটে অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশের ১২টি আর্টিস্টগ্রুপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা দলবদ্ধ হয়ে শিল্পকর্ম চর্চা করে থাকেন। গ্রুপগুলোর মধ্যে রয়ছে- আর্টপ্রো, ব্যাক আর্ট, চারুপীঠ, আকালিকো, গিদরি বাউলি, হিলস আর্টিস্ট গ্রুপ, যথাশিল্প, সাঁকো, শনি মঙ্গল আড্ডা অন্যতম।
ঢাকা আর্ট সামিট নান্দনিকভাবে সাজানোর জন্য কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক গ্যালারি ডিজাইনাররা। এবারকার আয়োজন অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সম্পূর্ণ ‘প্লাস্টিকমুক্ত’ প্রদর্শনী। কোনও কিছুতেই কোনোভাবেই প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে না। এমনকি বসার আসন পর্যন্তও। বিশেষ করে পরিবেশসম্মত কাগজ, বাঁশ, বেত ও কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। সাজ-সজ্জাকরণের জন্য সুইজারল্যান্ডের একটি স্বনামখ্যাত প্রতিষ্ঠাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। স্থানীয় (বাংলাদেশ) অনুষঙ্গ ব্যবহার করে আধুনিকভাবে সাজ-সজ্জাকরণ করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে এবার কোনও এয়ারকন্ডিশনের ব্যবহার থাকবে না।
প্রদর্শনীর মূল প্রবশেপথ থেকে শুরু হবে মুগ্ধতা। প্রায় ৪শ মিলিয়ন বছরের ফসিলের আদলে বানানো হয়েছে প্রবেশদ্বার। এখান দিয়ে হেঁটে যাওয়া সময় এক অন্যরকম অনুভূতি দেবে প্রতিটি দর্শনার্থীকে সেই স্থাপনা।
এই প্রদর্শনী উপভোগ করতে কোনও টিকিট বা পাসের প্রয়োজন হবে না। সবার জন্য উন্মুক্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যে কেউ প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে পারবেন কোনও রকম রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলা ছাড়াই। প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে এসে যাতে কেউ বিরক্তবোধ না করেন সেজন্য রয়েছে নানা আয়োজন। ক্ষুধা নিবারণের জন্য প্রদর্শনীস্থলে শিল্পকলা একাডেমির মাঠে স্থাপন করা হয়েছে ফুডকোর্ট। নিরাপত্তার কারণে বড় কোনও ব্যাগ বহন করা আয়োজকদের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সেই সাথে কোনও ধরনের খাবার, খাবার পানীয় ও তরলজাতীয় পদার্থ নিয়ে গ্যালারিতে প্রবেশ করা যাবে না।
ঢাকা আর্ট সামিট- ২০২০ ৫ম সংস্করণে সহায়তা প্রদান করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সহযোগী হিসেবে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, টাইটেল স্পন্সর গোল্ডেন হার্ভেস্ট। বিস্তারিত তথ্যের জন্য www.dhakaartsummit.org থেকেও প্রদর্শনীর যাবতীয় তথ্য জানা যাবে।
একনজরে সামিট
● স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৪৪ দেশের পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিভাবান শিল্পী অংশ নেবেন।
● ৯ (৭-১৫ ফেব্রুয়ারি) দিনের সামিট সাজানো হয়েছে সলো আর্ট এক্সিবিশন, পাবলিক আর্ট প্রজেক্ট, কিউরেটেড এক্সিবিশন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, একক ও দলবদ্ধ বক্তৃতা, এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম প্রদর্শনী, লাইভ আর্ট পারফর্ম্যান্স, পাপেট শো, প্রিন্টমেকিং ওয়ার্কশপ সহ শিল্প ও শিল্পকলা নানা বিষয় দিয়ে। থাকবে শিল্পবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
● সামদানী আর্ট অ্যাওয়ার্ড হিসেবে থাকছে রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম।
● ৫ম ঢাকা আর্ট সামিটের প্রতিপাদ্য ‘SEISMIC MOVEMENTS’ বা ‘সঞ্চারণ’।
● ঢাকা আর্ট সামিটের বাংলাদেশের প্রায় তিন শতাধিক শিল্পী, সমালোচক ও শিল্পানুরাগী অংশ নেবেন।
● ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্লভ আলোকচিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী।
● এবারের ঢাকা আর্ট সামিটের সার্বিক দায়িত্বে আছেন সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাদিয়া সামদানী এবং দেশি-বিদেশি ৩২ জন কিউরেটরের সমন্বয়ে গঠিত ঢাকা আর্ট সামিটের চিফ কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করছেন সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর ডায়না ক্যাম্পবেল বেটানকোর্ট। সাথে আছেন রুক্সমিনি আর কিউ চৌধুরী এবং তেরাসা আলবর।
● প্রদর্শনী সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।