ক্রীড়া ডেস্ক: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রোববার- বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা একটি দিন। প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি ইভেন্টের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আকবর আলির দল। স্বভাবতই, তাদের এ সাফল্যে উদ্বেলিত গোটা জাতি।
এত বড় সাফল্যের মাঝেও গতকাল রোববার হতাশাও ছিলো দেশের ক্রিকেটের অংশ। যুব দল যখন দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রমে বিশ্বকাপ ফাইনাল মাতাচ্ছিল, তখন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ইনিংস পরাজয়ের সঙ্গে লড়ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিলো, সহজেই ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারবে মুমিনুল হকের দল।
কিন্তু শেষ বিকেলে ভূতুড়ে ব্যাটিংয়ের কারণে জেঁকে বসেছে বড় পরাজয়ের শঙ্কা। ১৬ বছর বয়সী পেসার নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকে মাত্র ২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে পিন্ডি টেস্টে কঠিন চাপে বাংলাদেশ। এখনও ইনিংস পরাজয় এড়াতে করতে হবে ৮৬ রান, হাতে মাত্র ৪টি উইকেট।
নিজেদের খেলার হতাশা ভুলতে রোববার দিনের খেলা শেষ করে হোটেলে ফিরেই টিভি সেটের সামনে বসে পড়েছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সবাই একসঙ্গে মিলেই দেখেছেন উত্তরসূরিদের বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্য। জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়েছেন এমনটা।
যুবাদের বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে আমরা সবাই ফাইনাল দেখতে বসে ছিলাম টিভির সামনে। ভীষণ টেনশনই হচ্ছিল কী হয়, কী হয় ভেবে! যখন ৩০ রান দরকার ছিল, অনেকগুলো ডট বলে গেছে, ভাবছিলাম পারবে তো?’
দীর্ঘ পরিকল্পার ফল হিসেবে এ সাফল্য ধরা দেয়ায় মুমিনুলের তৃপ্তিটা যেন একটু বেশিই। তিনি বলেন, ‘এটা যেন তেন ঘটনা নয়, অনেক বড় ঘটনা। আমাদের খেলাধুলার ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ঘটনা আর কী হতে পারে? বাংলাদেশ যে বিশ্বকাপ জিতেছে! অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে আমরা কখনো দাপট দেখিয়ে খেলতে পারেনি। এবার পুরোই অন্য ছবি দেখা গেছে। পুরো টুর্নামেন্টে ভীষণ ধারাবাহিক খেলেছে আমাদের দল। এ সাফল্য ওদের পাওনা।’
যুবাদের প্রশংসায় ভাসিয়ে মুমিনুল আরও বলেন, ‘যে কাজটা সাকিব-তামিম-মুশফিক ভাই এমনকি আমরাও পারিনি, বাংলাদেশ ক্রিকেটে যা আগে কখনো হয়নি, তারা সেটা করে দেখিয়েছে। অনেকটা ভারমুক্ত মনে হচ্ছে এখন! শিরোপা জয়ীদের তালিকায় এখন থেকে থাকবে বাংলাদেশেরও নাম। আকবর তোমাদের অনেক অনেক অভিনন্দন আর অসংখ্য ধন্যবাদ, দেশের পতাকা তোমরা এত বড় মঞ্চে উড়িয়েছ।’