নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ সম্পদ, মাদক ও অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা যুবলীগ নেতা বলে পরিচিত গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে পাঁচ প্রকল্পের চুক্তি বাতিল করেছে সরকার। রবিবার রাতে চুক্তি বাতিলের কথা জানা যায়। এছাড়া, আরও পাঁচটি চুক্তি বাতিলে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সারা দেশে চলমান গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলোর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশের নির্মাণকাজ একক ও যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছিল শামীমের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সরকারি প্রকল্পের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করছিলেন তিনি। অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি সব বড় বড় কাজের একের পর এক ঠিকাদারি পায় তার প্রতিষ্ঠান। গণপূর্ত, রাজউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা ভবনের প্রায় সব কাজই করে তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে নির্মাণাধীন সচিবালয়ের নতুন ভবন ও এনবিআর ভবনও আছে।
বর্তমানে তিনি মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। তার ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে। ফলে বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। সচিবালয়ের নতুন ভবন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, গাজীপুরে র্যাবের কমপ্লেক্স, আজিমপুরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণসহ এককভাবে সরকারের ১৩টি বড় প্রকল্পের ঠিকাদার জি কে শামীম।
গত ২৪ নভেম্বর শামীমের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হওয়া দশটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিলো। সেগুলোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলে ‘টার্মিনেশন নোটিশ’ দেয় গণপূর্ত অধিদপ্তর।
এদিকে, জি কে শামীমের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) পাঁচ প্রকৌশলীকে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। প্রকৌশলীদের বর্তমান পদবী, কর্মস্থল, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বার পাসপোর্ট ও মোবাইল নাম্বার চেয়েছে দুদক। সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে উল্লিখিত তথ্যাদি তদন্ত দলের প্রধান সংস্থাটির পরিচালক-২, সৈয়দ ইকবাল হোসেন এর দপ্তরে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। যে সব প্রকৌশলীর তথ্যাদি চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিফ আহমে কাওছার মোর্শেদ, আশরাফুজ্জামান পলাশ, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল রানা এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান।