ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গবেষণার মাধম্য সবকিছু করা যায় এটা বাস্তব। গবেষণা ছাড়া কোনো কিছুর উৎকর্ষতা লাভ করা যায় না। আর যুগের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এজন্য বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।এসএসসি পর্যন্ত পাঠ্যক্রমে বিভাজনের কোনো দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য মাধ্যমিক পর্যন্ত বিজ্ঞান বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বর্ণপদক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘একটা সময় ছিল আমাদের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞান পড়ার দিকে আগ্রহ ছিল না। কারণ নবম শ্রেণি থেকে ভাগ করে দেয়া হয় কে কী পড়বে। আমার মনে হয় এ ভাগটা থাকার দরকার নেই। মাধ্যমিক পর্যন্ত তারা সব বিষয় পড়তে পারে। মাধ্যমিকের পরে গিয়ে বিভক্ত হয় তাহলে সেটাই ভালো। তাহলে অন্ততপক্ষে তার মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে।’
বঙ্গবন্ধুর বাণী উদ্ধৃত করে শিক্ষকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। জাতির পিতার এই কথাটা আপনারা মনে রাখবেন। তারা (শিক্ষার্থীরা) যেনো সেভাবেই শিক্ষা পায়। আমাদের ছেলেমেয়েরা মেধাবী। প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে তারা আরও মেধাবী হয়ে গড়ে উঠছে। ভবিষ্যতে দেশটা কীভাবে চলবে তার একটা পরিকল্পনা আমরা রেখে যাচ্ছি। আজকে যারা শিক্ষার্থী, আগামী দিনে তারাই দেশটাকে গড়ে তুলবে।
পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নে কী কী প্রয়োজন, যা প্রয়োজন আমরা তাই করবো।’
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। মেরিটাইম ও অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি করছি। আগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, তাও করেছি। এখন প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো। বিজ্ঞান শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য অনেক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত ছাত্র-ছাত্রী থাকবে সেটাও ঠিক করে দেওয়া হবে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে চাই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ শিক্ষার্থীকে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ ২০১৮ প্রদান করা হয়।