অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বাংলাদেশে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের একমাত্র মৃত ব্যক্তিকে ইসলামি নিয়ম অনুযায়ী দাফন করা হবে। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল অনুসরণ করা হবে।
বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আইইডিসিআর পরিচালক।
তিনি বলেন, ‘মুসলিম ব্যক্তিকে কীভাবে দাফন করা হবে (সে বিষয়ে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রটোকল আছে। করোনায় আক্রান্ত যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে (তিনি) একজন মুসলমান। তাকে ইসলামি রীতি অনুযায়ীই দাফন করা হবে। তবে তা আইইডিসিআরের লোকজন করবেন। এ উদ্দেশ্যে আমাদের লোকজন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে চলে গেছেন। তারাই সবকিছু করবেন।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের বর্তমান প্রজন্মটি (কোভিড-১৯) খুবই ছোঁয়াচে। এমনকি মৃত ব্যক্তির হাতে, মুখে, নাকে, চোখে বা যে যে স্থানে মুখের লালা লেগেছে সেখানে ভাইরাস থাকতে পারে। সে কারণে প্রচলিত যে রীতিতে একজন মুসলমান মৃত ব্যক্তিকে খালি হাতে ধরে গোসল করানো হয়, এই ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে সেভাবে গোসল করানো বা ধরা যাবে না। সে কারণে আইইডিসিআরে লোকজন গিয়ে দাফনের কাজটি করে দিয়ে আসবেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আইইডিসিআর। পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ আছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৭০ বছর। তিনি করোনা রোগীর সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিস ও কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার (১৮ মার্চ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, দেশে আরও চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে দুজন ইতালিফেরত ও একজন কুয়েত থেকে এসেছেন।
বর্তমানে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪। এছাড়া ১৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক।