রাজশাহীতে ট্রেনের তেল চুরির মামলায় সাময়িক বরখাস্তকৃত সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা তাকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। এসময় বিচারক মাহবুবুর রহমান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে আবুল হাসানকে রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী-আরএনবি। তবে করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় দুপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবুল হাসানকে হাজির করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ওয়াগন থেকে লরি ভিড়িয়ে তেল চুরির সময় হাতে চারজনকে আটক করে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন, যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, লরির হেলপার ইলিয়াস হোসেন, যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী। তেল চুরির ঘটনায় ওইদিনই সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনার আরএনবি’র উপ-পরিদর্শক আসাদুল হক বাদী হয়ে রেলওয়ে সম্পত্তি অবৈধ দখল উদ্ধার আইন-২০১৬ এর ৪নং ধারায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামী সাতজন। আসামীরা হলো- যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, লরির হেলপার ইলিয়াস হোসেন, যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী, রেলের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসান, আবু আলী খান, আশফাকুল ও রবিউল সরদার।
এদিকে এজাহারে আসামীদের নাম ও ঠিকানা লেখা হলেও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় লেখা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে রেলের ট্যাংকলরি থেকে পাঁচ হাজার লিটার তেল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আরএবি’র পরিদর্শক আহসান হাবীব। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ওইদিনই প্রকৌশলী আবুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।