ভুল মানলেও অনুতপ্ত নন উমর আকমল! বরং ভুলের পক্ষে ক্রমাগত সাফাই গেয়েছেন উমর আকমল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কৌঁসুলি জানালেন, মূলত এ কারণেই আকমলের শাস্তি তুলনামূলকভাবে বেশি হয়েছে। দুর্নীতি বিরোধী দুটি ধারা ভঙ্গের জন্য আকমলকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে পিসিবি। জুয়াড়িদের কাছ থেকে দুই দফায় প্রস্তাব পেয়েও তা কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় এই শাস্তি হয়েছে তার। প্রায় একই ধরনের অভিযোগে এর আগে পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইরফানের শান্তি হয়েছিল ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা, মোহাম্মদ নওয়াজের ২ মাস। আকমলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অতীত ইতিহাসের কারণে শাস্তি একটু বেশিই হওয়ার কথা। তবে এতটা বেশি হওয়ায় অবাক হয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের অনেকে। বিশেষ করে, পিসিবির অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে না যাওয়ায় তার শাস্তি কিছুটা কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু পিসিবির কৌঁসুলি তাফাজ্জল রিজভি জানালেন, শুনানিতে আকমলকে নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত মনে হয়নি। “সে ক্রমাগত নিজের ভুলের পক্ষে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করে গেছে। তার কথাবার্তা ছিল পুরো বিভ্রান্তিকর। নিজের অবস্থান মেনে নিচ্ছিল না, আবার অস্বীকারও করছিল না। অভিযোগগুলো স্বীকার করছিল সে, কিন্তু ভুলের পক্ষে হাস্যকর যুক্তি দিয়ে যাচ্ছিল।” “ভুল স্বীকার করে নিলে তো সেটি পুরোপুরি মেনে নিতে হবে এবং ট্রাইব্যুনালের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিতে হবে। দুর্নীতি বিরোধী ধারায় নিজের চাওয়া বা সুবিধা-অসুবিধার কোনো ব্যাপার নেই। হয় রিপোর্ট করেছে বা করেনি, মাঝামাঝি কিছু নেই।” প্রসঙ্গক্রমে বাঁহাতি পেসার ইরফানের শাস্তি কম হওয়ার উদাহরণ দিয়েছেন রিজভি। “আজকেও মাননীয় বিচারক আকমলকে স্পষ্টভাবে জিজ্ঞেষ করেছিলেন, নিজের দোষ মেনে নিচ্ছে কিনা। কিন্তু সে বারবারই নিজের হঠকারিতার পক্ষে সাফাই গেয়েছে। ইরফান তার ভুল পুরোপুরি মেনে নিয়েছিল এবং শাস্তিও মাথা পেতে নিয়েছিল। আকমল রিপোর্ট না করার পেছনের কারণ বারবার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছিল।” পিসিবির এই কৌঁসুলি এসব ক্ষেত্রে আরও বড় শাস্তির পক্ষপাতী। “রিপোর্ট না করায় তিন বছরের এই শাস্তি ঠিকই আছে। পিসিবি যদিও আরও কঠিন শাস্তি চাইছিল। এসব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর সময় এখনই, কারণ এটা পরিষ্কার যে ভুল থেকে যতটা শেখা উচিত, খেলোয়াড়রা ততটা শিখছে না। আকমলের ক্ষেত্রে আইনি দিক থেকে বলতে পারি, আমি খুবই সন্তুষ্ট যে এই নিষেধাজ্ঞা যৌক্তিক, ন্যায্য ও যথার্থ।