ভোলার মনপুরা উপকূলে গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে শত শত হেক্টর জমির রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে ডুবে রয়েছে ৫ শত হেক্টর জমির রবি শস্য। ওই সমস্ত জমির বৃষ্টির পানি সরাতে না পারলে ক্ষতির পরিমান বাড়বে বলে জানান একাধিক চাষী।
এদিকে পুরো উপজেলায় লকডাউন থাকায় শ্রমিক সংকটে ক্ষেত হতে ফসল তুলতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান আবাদকৃত কৃষকরা। তবে ২০ হেক্টর জমির রবিশস্যের ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানালেও ক্ষতির পরিমান আরোও বেশি বলে জানান চাষকৃত কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে রবি শস্যের চাষ হয়। এতে ডাল ৭ হাজার হেক্টর ও মরিচ সহ অন্যান্য ফসল ২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এর মধ্যে ২০ হেক্টর জমির ফসলের সম্পূর্ন ক্ষতি হয়। এছাড়াও ৪৫০ হেক্টর জমির রবি শস্যের ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে ডুবে রয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।
উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চাষকৃত রবি শস্যের কৃষক সহিজল হক, শহিদ, মোসলেহ উদ্দিন, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের আনচার হক মিঝি, জয়নাল আবেদিন, মন্নান, কুট্টি সরদার, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাইফুল, জসিম ও মনপুরা ইউনিয়নের কৃষক লোকমান, এসহাক মহাজন, মজিবুল হক ও আবদুল মালেক জানান, এক একর জমিতে রবি শস্যের ফসল ফলাতে ৪-৫ হাজার টাকা লাগে। ৩ দিনের টানা বৃষ্টিতে তাদের ডাল ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও ফসল তুলতে শ্রমিক না পাওয়া যাওয়া বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সরকার ও কৃষি অফিস সহযোগিতা না করলে মাঠে মারা যাবে বলে জানান কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের রবি শস্যের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, কোথাও কোথাও প্রচন্ড বৃষ্টির কোপে ক্ষেতের রবি শস্যের ফসল মাঠে পড়ে রয়েছে। তবে ৫ শতাধিকের উপরে রবি শস্যের মাঠে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান, টানা বৃষ্টিতে রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৪৫০ হেক্টর জমিতে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ক্ষতির পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে। তবে এখন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ২০ হেক্টর জমির রবি শস্যের ক্ষতি হয়েছে। সরকারি সহযোগিতা আসলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে দেওয়া হবে।