নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এডিস মশার প্রকোপ। গত বছরের তুলনায় এবছর একই সময়ে বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছে ডেঙ্গুতে। তাই এডিস মশার উপদ্রপ কমাতে মাঠে নামবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। তবে আরও কয়েকদিন পর শুরু হবে এডিস মশা নিধনের অভিযান।
এডিস মশা নিধনে ভবনের ভেতরে ও বাইরে জমে থাকা পানি অপসারণ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ১০ মের পর থেকে শুরু হবে অভিযান। বাসা-বাড়িতে এসিড মশার প্রজননের পরিবেশ পাওয়া গেলে গুণতে হবে জরিমানা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাসা-বাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন বা চত্বরে মশার বংশবিস্তারে সক্ষম পরিবেশ পরিলক্ষিত হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হবে। ১০ মে’র পর থেকে অভিযান শুরু হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জমে থাকা পানিতে এডিস মশা সহজেই বংশবিস্তার করতে পারে। কাজেই বাসাবাড়ি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদ, বাথরুমের কমোডসহ নির্মাণাধীন স্থাপনার বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকলে তা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করতে হবে। সরকারি ভবনসমূহে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে মশা নিধনে এক বছরের ওষুধ মজুদ আছে।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।